Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের বিষাদের কারণ না হয়: প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৯, ৪:১৩ পিএম

ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সোমবার বঙ্গভবনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বলেন, “এবারের ঈদুল আজহা এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। কোরবানির পর বর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যেতে পারে।

“তাই নিজ দায়িত্বে কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে এবং বাসাবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”

আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরা সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট হামিদ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ঘরে ঈদের আনন্দ পৌঁছে দিতে সমাজের সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কোরবানির মর্ম উপলব্ধি করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, “কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।“

কোরবানির আনন্দকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে এর প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি নিজের আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
এর আগে ঈদ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রেসিডেন্ট হামিদ। স্ত্রী রাশিদা খানম এবং পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মশিউর রহমানও এসেছিলেন বঙ্গভবনে।

যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ বেসামরিক-সামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এছাড়া সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারাও শুভেচ্ছা বিনিময়ে এসেছিলেন।

বঙ্গভবনের দরবার হলে এ অনুষ্ঠানে গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, পোলাও, খিচুড়ি, দই বড়া, সেমাইসহ কয়েক পদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসিডেন্ট

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ