বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সকল প্রকার অনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের তাতীঁপাড়াস্থ পৈত্রিক বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, ফয়গাম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদল সভাপতি চৌধুরী আবু নুরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা এদেশের আশা আকাঙ্খা প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতন্ত্র, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতিক হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বাইরে থাকলে শাকস গোষ্ঠী আওয়ামীলীগ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় না।

তিনি বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া উচিৎ। তিনি খুবই অসুস্থ্য চিকিৎসার জন্য তাকে কেবিন থেকে আরেকটি ব‌কে হুইল চেয়ারে নিয়ে যেতে হয়। মানবিক কারনে এই সমস্ত মামলা গুলোতে জামিন দেয়া হয়। এ সরকার এতোই অমানবিক এবং বেআইনী কাজ কর্মে অভ্যস্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কাশ্মির সমস্যাটি সম্প্রতি মাথা চারা দিয়ে উঠলেও এটি অনেক পুরনো সমস্যা। এটি মূলতঃ ভারত আর পাকিস্তানের সমস্যা হলেও কাশ্মিরের জনগণ যে নির্যাতিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত এটাকে সেভাবে আন্তর্জাতিকভাবে দেখা হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে দু’টি কথা লেখা আছে , একটি হলো অন্য দেশের আভ্যান্তরিণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা ও অন্য দিকে কোনো নির্যাতিত জাতি যদি আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের জন্য লড়াই করে তবে সেটা কে সমর্থন করা। এ প্রেক্ষাপটে কাশ্মির ইস্যুতে কাশ্মিরের জনসাধারণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে আসবার আহবান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি সকলকে সংযত হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া বা এমন কোনো উষ্কানি দেয়া উচিৎ নয় যাতে করে কাশ্মিরের জনগণের উপর আরো নির্যাতন নেমে আসবে অথবা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার বিঘ্ন ঘটবে।