বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের শিকার হতে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীদের। বিশেষ করে শিশু ও নারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গত শুক্রবার, শনিবার আজ রবিবার যানজট প্রায় ৭০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। যানজটে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে যাত্রীরা। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চাপ বাড়লেও নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে মানুষ। গত শনিবার থেকে এ যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা ঘরমুখো মানুষ। শনিবারও ভোর থেকেই গাড়ি কখনও থেমে থেমে চলছে, কখনও আবার একেবারেই থেমে যাচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত এ অবস্থা। তীব্র যানজটের কারনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর,মধুপুর,ধনবাড়ি,ঘাটাইল এলাকার এবং জামালপুর,ময়মনসিংহ জেলার লোকজন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই-হাটুভাঙ্গা সড়ক ধরে সখিপুর হয়ে গন্তব্যে রওয়ানা হচ্ছে।
এমনকি আজ রবিবার দুপুরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ভোলা এমপি তাঁর নিজ বাড়ি নির্বাচনী এলাকা মধুপুরে সখিপুর-গাড়োবাজার হয়ে চলে গেছেন। তীব্র যানজটের কারনে টয়লেট, খাবার ও পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে শিশু,নারী ও সাধারন যাত্রীগন। টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির অনেক চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশের প্রায় ৭০কি.মি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সাত শতাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর যানজটের সঙ্গে টোল আদায়ের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সেতুতে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, যানজটের কারণে প্রায়ই বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রবেশ করতে পারছে না যানবাহন। ফলে টোল আদায় বন্ধ থাকছে। যানবাহন সেতুতে এসে পৌঁছালে টোল আদায় করে তা পারাপারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় পাশে প্রায় ৭০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মাঝে যানজট ছাড়লেও খুবই ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। এলেঙ্গায় যানজটের কারণ সম্পর্কে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম বলেন, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খানা-খন্দ হওয়ায় এ এলাকায় গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ঢাকা-আরিচা (পাটুরিয়া) মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকেই পুরো রাস্তা ছিল যানবাহনের প্রচন্ড চাপ। যা অব্যাহত আছে আজকেও। স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুন যানবাহনের কারণে মূলত এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ছোট গাড়ি(নিজস্ব)। রাস্তার প্রসস্থতার তুলনায় অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট ৭০ কিলোমিটার সড়ক পার হতে কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা সময় লাগছে প্রতিটি গাড়ির। এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটে যানবহন প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, প্রায় চার হাজার গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হলেও অতিরিক্ত যানবাহনে জন্য ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময়। বিআইডবিøউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও যানজট নিরসনে র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।