বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকা থেকে পাকুলা পর্যন্ত ৪০ কি.মি. রাস্তায় যানবাহন চলছে থেমে থেমে। এই মহাসড়কের অন্তত দশটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়কের গোড়াই, মির্জাপুর, পাকুল্যা, করটিয়া বাইপাস, নগর জালফৈ, রাবনা বাইপাস, পৌলি, এলেঙ্গা ও বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্বপার এলাকায় মাঝে মাঝেই যানটজের সৃষ্টি হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে ৭ শতাধিক পুলিশ এই মহাসড়কের আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনগুন বেশি যানবাহন চলাচল করছে। ফলে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পশুবাহি ট্রাক এবং যাত্রীবাহি বাস বিভিন্নস্থানে বিকল হয়ে ১৫-২০ মিনিট সড়কের উপরে অবস্থান করলেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন থেকে যখন বঙ্গবন্ধুসেতু এলাকায় দুইলেনে প্রবেশ করছে তখনই অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে মাঝে মধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুসেতু টোল প্লাজায় অতিরিক্ত গাড়ীর চাপের কারণে টোল আদায় করতে সময় লাগায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। টোল দিয়ে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে যানবাহনগুলো দীর্ঘ যানজটে পরেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব এলাকা থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো অনেকটা স্বাভাবিক গতিতে চলছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গের ২২ জেলাসহ টাঙ্গাইলের যানবাহনগুলো থেমে থেমেই পড়ছে যানজটের কবলে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী ঈদে ঘরমুখী মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, গত ৮ তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টোলপ্লাজা ১২ বার বন্ধ হয়েছে। টোল আদায় এক মিনিট বন্ধ থাকায় ৪০-৫০টি গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এছাড়াও সেতুর পশ্চিম অংশে সিরাজগঞ্জ জেলার নকলা ব্রিজ, হাটিকুমরুল ও কড্ডা মোড় এলাকায় যানবাহন চলতে না পাড়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ৬৭০ জন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যর পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব ও ১৯০ জন আনসার সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনারসহ তিনি নিজেও যানবাহন সচল রাখতে রাস্তায় সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধুসেতু দিয়ে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক যানবাহন পাড় হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু কর্র্তৃপক্ষ। সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ হাজার ৩৩৭টি যানবাহন পাড় হয়েছে। এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।