বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া হত্যা চেষ্টা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের ১৮টি মামলার পলাতক আসামীকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাতকড়া পড়া অবস্থায় পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগী সন্ত্রাসী ও তার স্বজনরা। এ সময় পুলিশ সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পিস্তুল দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং নুর আলম ও তাজনুর রহমান নামের দুই সন্ত্রাসীকে আটক সহ ঘটনাস্থল থেকে আসামী ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোচার্জার ভ্যান উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্তি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করেন। ছিনিয়ে নেয়া আসামি চিনু মিয়া (৩৮) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে। আটক তাজনুর রহমান (৪০) একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের এর পুত্র এবং নুর আলম (২২) উপজেলার সাবগাছি হাতিয়াদহ গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র বলে জানাগেছে। নুর আলম ও তাজনুর সম্পর্কে আসামি চিনু মিয়ার চাচাতো ও মামাতো ভাই।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, চিনু মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, হত্যা চেষ্টা, প্রতারনা, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাসহ ১৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেফতারী পরোয়ারনা জারি করেছে। গোপন খবরের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল এএসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে চিনুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাকৃত চিনুকে হাতকড়া পড়িয়ে গাড়িতে করে থানায় আনার সময় বাঁধের উপর পৌছিলে চিনু মিয়ার সহযোগি সন্ত্রাসী ও তার স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান নিয়ে লাঠিসোডা ও দেশীয় অস্ত্র সহ ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে সন্ত্রাসী চিনু মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থল থেকে চিনুর সহযোগি নুর আলম ও তাজনুরকে আটক করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোচার্জার ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামি চিনু জ্বীনের বাদশা প্রতারক চক্রের একজন মুল হোতা। চিনুর নেতৃত্বে গড়ে উঠা একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। চিনু গ্রেফতারের খবরে তার সিন্ডিকেটের সদস্য ও স¦জনরা তাৎক্ষণিকভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। চিনুসহ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।