দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সমালোচনায় মুখর বিশ্বমিডিয়া
ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৫:২২ পিএম
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল প্রসঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এর আগে গত সোমবার (৫ আগস্ট) পার্লামেন্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে রাজ্যটির 'স্পেশাল স্ট্যাটাস' বা বিশেষ মর্যাদা প্রদান করে তা বিলোপের ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি।
যা নিয়ে পরবর্তীতে মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। যেখানে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তকে একটি ‘বিপজ্জনক’ ও ‘ভুল’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
গণমাধ্যমটির দাবি, ‘ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী। যে কারণে কাশ্মিরী মুসলিম জনগণকে বাড়তি সুবিধা দেবে এমন আইনকে তারা রাখতে চায় না। এমন পদক্ষেপ বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গিতে ঐতিহাসিক একটি ভুল সংশোধনের সামিল।’
এ দিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ানের’ সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে ভারত বিজেপির গেরুয়াকরণ রাজনীতি আরও একবার মুখ দেখল। চলমান কাশ্মীর সঙ্কট নিরসনের নামে মোদি সরকারের এসব পদক্ষেপ কোনো মতেই ‘আইনানুগ নয়’ বরং তা নিজেদের অবস্থানকেই স্পষ্ট করার একটি মাধ্যম।’
প্রতিবেশী পাকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র নেতাদের করা অনুমানের বরাতে গণমাধ্যমটি জানায়, সরকারের এই প্রক্রিয়ার ফল খুব বাজেভাবে ভোগ করতে হবে। কেননা এতে কাশ্মীরের রক্তপাত আর হানাহানি কখনোই থামানো যাবে না; যা কারোই কাম্য নয়।
অপর দিকে ‘আগুন নিয়ে খেলছে সরকার’ এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে জার্মান গণমাধ্যম ‘ডি ডব্লিউ’। মিডিয়াটির এশিয়া মহাদেশ বিভাগের সম্পাদক রডিন এব্বিগহসেন তার কলামে লিখেছেন, ‘সরকার এবার যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে; তাতে কাশ্মীরের মুসলিম জনতা এবং উপত্যকার সকল রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলবে।’
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষমতা হ্রাস এবং রাজ্যটিকে একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার এ প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানায়নি কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল-জাজিরাও’। তাদের শিরোনামে এই দিনটিকে ‘একটি অন্ধকারতম দিন’ বলেও অবহিত করা হয়েছে। গণমাধ্যমটির দাবি, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে অঞ্চলটিকে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করেছে সরকার; যা একটি শ্বাসরোধকারী পদক্ষেপ।
তবে মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগ’ বলে এরই মধ্যে দাবি করেছে পাকিস্তান। পাক কর্তৃপক্ষের বরাতে দেশটির গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’ বলছে, ‘কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানিয়ে দেওয়াটা অনাকাঙ্ক্ষিত। যা ভারত সরকারের অযাচিত বলপ্রয়োগের শামিল। এতে অতীতের সমস্ত প্রতিশ্রুতির অবমাননা এমনকি জাতিসংঘেরও অবমাননা করা হয়েছে।’
