পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের উপর করে অধিকার হারিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দার। কাশ্মীরিদের জন্য রক্ষাকবচ এই ধারা ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এক ঝটকায় বিলুপ্ত করে দেয়ার পর উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সংবিধানের ৩৭১ ধারা নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত আতঙ্কিত। এদিকে, সিপিএমের মতোই এবার পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রদেশ কংগ্রেস। দার্জিলিং-কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের অংশ থাকবে কিনা তা নিয়ে এবার তাদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এর মধ্যেই আশঙ্কা আরো উস্কে দিয়ে আজাদ কাশ্মীর ও আকসাই চীন ভারতের অংশ বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাজ্যসভায় ১২৫-৬১ ভোটে পাস হবার পর গতকাল ৩৫১-৭২ ভোটে লোকসভায় পাস করিয়েছে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট। কাশ্মীরে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সেখান অধুনাবিলুপ্ত মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া এবং সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে জম্মু-কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা পূরণে যে কোন কিছু করতে তারা প্রস্তুত। উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার জেদ্দায় কাশ্মীরের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ওআইসির বৈঠক হয়েছে।
আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী রাজা ফারুক সোমবার বলেন, ‘ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কাশ্মীর হারালো। আমরা কখনোই ভারতের অংশ ছিলাম না। কিন্তু ভারত আজ লাদাখ ও জম্মুসহ উপত্যকাও হারালো।’ কাশ্মীরের মানুষ জীবন বাঁচাতে যুদ্ধ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার শুধুমাত্র ভারতীয় প্রোপাগান্ডার জবাবই দেবে না বরং কাশ্মীর নিয়ে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে। ভারত এমন পরিস্থিতি তৈরি করে পাকিস্তানের সাথে একটি জটিল সম্পর্ক সৃষ্টি করছে। রাজা হায়দারের আশঙ্কা ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে গণহত্যা চালাতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আজাদ কাশ্মীরের আইনসভায় একটি বিশেষ অধিবেশনও ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় কংগ্রেসের এমপি অধীর চৌধুরী বলেছেন, কাশ্মিরকে কয়েদখানা বানিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে লোকসভায় জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল পেশ করার পরে এ নিয়ে তীব্র বিতর্কের সময় অধীর বাবু ওই মন্তব্য করেন। অধীর চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম ভেঙে জম্মু-কাশ্মির ভাগ করা হচ্ছে। শিমলা চুক্তি ও লাহোর চুক্তি সত্তে¡ও কীভাবে এটা অভ্যন্তরীণ বিষয় হল? ওই দুই চুক্তি দ্বিপক্ষীয় ছিল। জম্মু-কাশ্মীরকে কয়েদখানা বানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
অধীর বাবু বলেন, ‘কাশ্মিরকে আপনারা অভ্যন্তরীণ বিষয় বলছেন, কিন্তু জাতিসঙ্ঘ সেখানে পর্যবেক্ষণ করে। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস কি এটাই চায় যে, জাতিসঙ্ঘ পর্যবেক্ষণ করতে পারে? এ নিয়ে কংগ্রেস তার অবস্থান স্পষ্ট করুক। এরপরেই ওই ইস্যুতে সংসদে তীব্র গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
অধীর চৌধুরী বলেন, এটা দ্বিপক্ষীয় বিষয় না আন্তর্জাতিক বিষয় সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করুক। সেখানে লাখো সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উপত্যকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি না।
এর পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে? সংবিধানে জম্মু-কাশ্মিরকে দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের সংবিধানেও একই কথার উল্লেখ আছে। সেজন্য জম্মু-কাশ্মিরে আইন প্রণয়নে কোনো বাধা নেই। জম্মু-কাশ্মিরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মিরও রয়েছে। আকসাই চীনও ভারতের অংশ। প্রেসিডেন্টের ৩৭০ ধারা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে।’ সংবিধান অনুসারেই জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও অমিত শাহ মন্তব্য করেন।
কংগ্রেস নেতা মনিশ তিওয়ারি বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধানে কেবল ৩৭০ ধারা নেই। এতে ৩৭১-এ থেকে আই পর্যন্ত রয়েছে। তারা নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুর, অন্ধ্র প্রদেশ, সিকিম প্রভৃতি রাজ্যে ‘বিশেষ অধিকার’ প্রদান করে। আজ যখন আপনি ৩৭০ ধারা বাতিল করছেন, আপনি ওইসব রাজ্যের জন্য কী বার্তা পাঠাচ্ছেন?’
সংসদে এদিন তৃণম‚ল এমপিরা প্রস্তাবিত জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল নিয়ে ভোটাভুটির আগেই ওয়াকআউট করেন। লোকসভায় তৃণম‚ল এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জমু-কাশ্মির বিভাজনের পরে সেখানে সন্ত্রাসী কাজকর্ম বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি অনিশ্চয়তা নিয়ে আসবে। সরকারের বলা উচিত যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে?
সুদীপ বাবু বলেন, ‘কাশ্মিরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীকে কেন গ্রেপ্তার করা হল, কেন আমাদের এ বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে না? আমরা যদি এই বিলে ভোট দেয়ার অংশ হয়ে যাই তবে আমরাও এর অংশীদার হব এবং এজন্য আমরা এর বিরোধিতায় ওয়াক আউটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, অধিকৃত জম্বু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বিশেষ মর্যাদা তুলে কাশ্মীরকে দ্বি-খন্ডিত করতে ভারত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কাশ্মীরিদের প্রতি দায়বদ্ধতা পূরণে যে কোনো কিছু করতে তারা প্রস্তুত। গতকাল মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা কমান্ডারদের বৈঠক শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআরের মুখপাত্র আসিফ গফুর বলেন, কাশ্মীরি জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার জন্য যতদূর করতে হয় তার জন্য পাক সেনাবাহিনী প্রস্তুত। জেনারেল গফুর তার অফিসিয়াল পেজে এক টুইট বার্তায় বলেন, কয়েক দশক আগে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বা ৩৫/এ-এর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের দখলকে বৈধকরণে ভারতীয় প্রচেষ্টাকে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি পাকিস্তান, যেটি এখন ভারত নিজেই বাতিল করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বলেন, কাশ্মীরিদের শেষ সংগ্রামে কাশ্মীরিদের শেষ লড়াইয় পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে রয়েছে। আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে যতদূর করতে হয় তার জন্য আমরা প্রস্তুত।
ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেলের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আনা বিলের বিরোধিতা করা হবে। তার পরামর্শ, কাশ্মীরের মানুষ এবং রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এরপরই মমতার তোপ, ফারুক আব্দুল্লাহ, ওমর আব্দুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতীর কোনও খোঁজ নেই। তারা কি সন্ত্রাসবাদী? প্রশ্ন তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের দ্রুত ছেড়ে দেয়া উচিত।
পিডিপি নেত্রী তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি শেষ টুইটটি করেছেন ২২ ঘণ্টা আগে। ধারা ৩৭০ বাতিল করে দেয়ায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘অসংবিধানিক’ বলে আখ্যা করে টুইট করেন। আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহকে টুইটারে শেষ দেখা গেছে সোমবার কাকভোরে। আশঙ্কা ছিল কিন্তু সেই ঝড় ওঠেনি তখনও। সোমবার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর ওমর আব্দুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে কোনও খোঁজ নেই তাদের। কোথায় তারা? -সংসদে সোমবার কেন্দ্রের থেকে জবাব চাইলেন বিরোধীরা।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে মোদি সরকার নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আমাদের আশঙ্কা, সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অখন্ডতার উপর মোদি সরকার কি আঘাত হানতে চলেছে? অমিত শাহরা কি এই রাজ্য ও দেশকে টুকরো টুকরো করবেন?’
এদিকে, মিজোরামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা লালথানহাওলা ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রেক্ষিতে বলেন, এ ঘটনা মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যের পক্ষে আতঙ্কের। কংগ্রেস মুখপাত্র লাল লিয়াংচুঙ্গা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ৩৭১এ ধারায় হাত পড়লে রুখে দাঁড়াবে মিজোরা। নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা আত্মবলিদানেও প্রস্তুত। নাগাল্যান্ডের বৃহত্তম জনজাতি মঞ্চ নাগা হো হো-র সভাপতি চুবা ওঝুকুমর ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, আমরাও অধিকার হারানোর আশঙ্কায় ভুগছি। ভারত-নাগা শান্তি আলোচনা চলাকালীন কেন্দ্র নাগাদের অধিকারে হাত দিলে ফল খারাপ হবে।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারতে সংবিধানের ৩৭১এ ও ৩৭১জি ধারা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণের সুবিধা পান ভ‚মিপুত্ররা। এমনকি পার্বত্য এলাকায় জনজাতিদের জমির উপরে ও নিচে থাকা বন বা খনিজ সম্পদের উপরেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অধিকার স্বীকৃত। দিতে হয় না কোনো কর। ভারতীয় সংবিধানের ধর্মীয়, সামাজিক কোনো ধারা উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কার্যকর নয়। সেখানে দেশীয় আইন, ঐতিহ্য অনুযায়ী অনেক কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়। সম্পত্তি ও জমির হস্তান্তরও নিজস্ব নিয়মে চলে। সংবিধানের ৩৬৮ ধারার ভিত্তিতে ৩৭১ নম্বর ধারায় নয়টি রাজ্যকে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা ও অধিকার দেয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাঁ ও অন্ধ্রপ্রদেশও রয়েছে সেই তালিকায়। ৩৭১বি ধারায় রয়েছে আসামের কথা। ওই ধারায় বর্ণিত অধিকার বলে রাজ্যপালকে আসামের জনজাতি এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে বিধানসভার কমিটি গঠনের অধিকার দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়াও আছে ২৪৪এ ধারা। ১৯৬৯ সালে যোগ করা এই ধারা অনুযায়ী, আসামকে স্বশাসিত পরিষদ গঠনের বিশেষ অধিকার দেয়া রয়েছে। ৩৭১ডি ও ই ধারায় অন্ধ্রপ্রদেশে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণসহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টর হাতে। আবার অরুণাচল প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ অধিকার দেয়া রয়েছে রাজ্যপালকে। তিনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উল্টে দিতে পারেন ৩৭১এইচ ধারার ভিত্তিতে। তাই কাশ্মীরের জন্য ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বিলোপ ঘোষণার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সূত্র : টিওআই, ডেইলি টাইমস, এনডিটিভি, কলকাতা ২৪, জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।