গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, কাশ্মীরের জন্য প্রয়োজনে সময় দেব, অর্থ দেব। যদি জীবন দিতে হয় তাও দেব।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, কাশ্মীর ৩৭০ ধারা এবং তার অধীনে ৩৫ ধারা অনুযায়ী তারা স্বতন্ত্র এক দেশ থাকবে। শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মাত্র তিনটা জিনিস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকবে। নেহেরু সাহেব এ সংবিধানে ভারতে করেছিলেন।
কাশ্মীরের জনগণ ব্যবসা, সরকারি চাকরি সব সুবিধা ভোগ করবে এবং তারা সেখানে স্বাধীন থাকবে। ওই এলাকায় বহিরাগত কোনো দেশের লোক ভারত হোক বা অন্য কোনো দেশের লোক হোক, তারা জমি ক্রয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, কিন্তু মোদি সরকার সেই ৩৭০ ধারা পরিবর্তন করেছে অবৈধভাবে। ভারতের সংবিধানের ২ ও ৩ ধারার মধ্যে কোনো প্রদেশকে অধীনে আনতে গেলে শর্ত আছে সেই শর্ত মোদি সরকার মানেনি। প্রেসিডেন্ট অর্ডিন্যান্স জারি থাকে সেই প্রদেশের সংসদের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু মোদি সরকার কাশ্মীরের সংসদের অনুমতি গ্রহণ করেনি। কাশ্মীরের সংসদ নেই। অনুমতি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
ফয়জুল করীম বলেন, ভারতের সংবিধানের দিকে লক্ষ্য না রেখে কাশ্মীরে মোদি সরকার আগ্রাসন চালাচ্ছে, দখলের ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের ভয় হয়, তার এই ষড়যন্ত্রের চক্ষু বাংলাদেশে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমি মোদি সরকারকে বলব আপনার এই নীতির বিরুদ্ধে ভারতের সব রাজনৈতিক দল সোচ্চার হয়েছে। তারা বক্তব্য দিচ্ছে মোদি সরকার গণতন্ত্রকে জবাই দিয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, মোদি সরকার ভারতের সংবিধানের মাথা কেটে নিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির বলেন, আমরা ভারতবিরোধী নই, ভারতের আগ্রাসনের বিরোধী। আমরা ভারতবিরোধী নই, ভারতের নীতিবিরোধী। যেখানে ভারতের রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন কাশ্মীরের বিষয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্ত ভারতকে টুকরো টুকরো করার সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, আমি সব নাগরিককে বলব, এ সমস্যা শুধু কাশ্মীরের নয় এটা বাংলাদেশেরও। এর প্রতিবাদে যদি আপনারা না দাঁড়ান তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের ক্ষতি হবে।
ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিককে (হিন্দু-মুসলমান) এর মোকাবিলায় দাঁড়াতে হবে। আজকে কাশ্মীরে মুসলিম দলিত হচ্ছে, ভারতের মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে। সেখানে অবৈধভাবে দেশ দখলের চক্রান্ত করছে। আমি মনে করি, যদি মোদিকে সুযোগ দেয়া হয় তাহলে এই সুযোগ পেয়ে সে বাংলাদেশ দখল করার চক্রান্ত করবে।
কোনো অবস্থায়ই মোদি সরকারকে কাশ্মীর দখল করতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি।
তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। যদি আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের জীবন দেয়ার প্রয়োজন হয় জীবন দেব। মোদি সরকারের এ লোলুপ দৃষ্টি দেশের দিকে পড়বে এটা আমরা মেনে নেব না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক নজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম ওমর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।