বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে চলমান অভিযানে মামলার কাগজ থাকার কথা বলে বাঁধা দিয়েছেন একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মো. ইউনুছ মিয়া।
অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য শামীম (৪০) কিছু দখলদারকে রক্ষার চেষ্টার প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ বেধে যায়। পন্ডু হয়ে যায় উচ্ছেদ অভিযান। বাধাগ্রস্ত হয়েছে এখানকার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। সরাইল থানা পুলিশের মৃদু লাঠিচার্জে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গত রোববার সকালে সরাইল সদরের হাসপাতাল মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল হাসপাতাল মোড়ের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা সমূহ ১৫-২০ দিন আগে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থাপনা সমূহ সরিয়ে নিতে করা হয়েছে মাইকিং। এরপরও অনেক স্থাপনা নিজেরা সরিয়ে নেয়নি দখলদাররা। সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেদওয়ান রহমান ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরাইল হাসপাতাল মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা। প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল ডিজিটাল হাসপাতালের সিঁড়ি উচ্ছেদ করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। মালিক ইউনুছ মিয়া মামলার কাগজ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে। কাগজ দেখা শুনার সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার প্রতিবাদ করেন উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. শামীম মিয়া। তার উপর চড়াও হন ইউনুছ মিয়া ও তার লোকজন। দুজনের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা শামীমকে মারধর করে আহত করে ফেলে। এ ঘটনায় শামীমের লোকজন উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। বিক্ষুদ্ধ লোকজন ওই হাসপাতালটি ভাঙচুর করেন। এতে সরাইল সদরে প্রবেশে ও সরাইল-নাসিরনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেদওয়ান রহমান ভূঁইয়া বলেন, সিঁড়িটির অবস্থান জানতে আমরা মাপের কাজ করছিলাম। এমনি মারামারি লেগে যায়। আর পারিনি। উচ্ছেদের কাজও বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা বলেন, হঠাৎ করে লোকজন সংঘর্ষ লেগে যায়। আমাদের কারো সাথে কোন ঝামেলা হয়নি। গতকাল কালিকচ্ছ বাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ করার কথা ছিল। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় ও পাশেই গরুর হাট থাকায় উচ্ছেদ আপাতত বন্ধ করে দিয়েছি।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা করেনি। কোন গ্রেফতার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।