গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ৬ দফার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাগরণের যে বীজ অংকুরিত করেছিলেন তা জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা পূর্ণতা দিয়েছেন। ৬ দফার জন্মদাতা হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পূর্ণতা দিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ৬ দফা দিবস উপলক্ষে কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের অন্তরের কথা বুঝতেন বলেই তার প্রণীত ৬ দফা দাবীনামা মানুষের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়। তার পূর্বে অনেক বড় বড় নেতা এদেশে নেতৃত্ব দিলেও মানুষের মনের কথা বুঝতেন না বলেই তারা মানুষের অধিকার আদায়ে সফলতা পাননি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জাতির পিতার যোগ্য উত্তরাধিকার ধারণ করে মানুষের প্রাণের কথা, মনের কথা বুঝেন বলেই তিনি আজ সারা বিশ্বের নন্দিত ও সফল রাষ্ট্রনায়ক। দেশের মানুষের সবচেয়ে আপনজন।
ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা অন্তরের কথা বুঝতে পারেন না বলেই তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও এককালের বিরোধীদলীয় নেত্রী হয়েও বেগম খালেদা জিয়া বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হচ্ছেন। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। এ কারণেই জনগণের সমর্থন আদায়ের পরিবর্তে তাকে বেছে নিতে হচ্ছে গুপ্ত হত্যা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগসহ গণবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাÐকে। যার ফলে তিনি আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে ‘দেশনেত্রী’র পরিবর্তে সন্ত্রাসী নেত্রী হিসেবে স্বীকৃত।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আজ এই ঐতিহাসিক দিনে বেগম খালেদা জিয়াকে আহŸান জানাই সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে ৬ দফা আন্দোলনের ইতিহাস পড়ুন। জনগণের শরণাপন্ন হন। আপনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যে পথ অবলম্বন করেছেন তা পরিহার করুন। গুপ্ত হত্যা, বিদেশী নাগরিকদের উপর হামলা, পুলিশের স্ত্রী হত্যা, সংখ্যালঘু হত্যা বন্ধ করুন এবং রাজনীতির সুস্থ ধারায় ফিরে আসুন।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আবদুস সাত্তার মাসুদ, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, আসাদুল হক, সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, সুবাস চন্দ্র হাওলাদার, ড. সাজ্জাত হায়দার লিটন, মিজানুল ইসলাম মিজু, শ্যামল কুমার রায়, কেন্দ্রীয় নেতা রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, সোহরাফ হোসেন, সারোয়ার হোসেন, আনোয়ার ইকবাল, নাজমুল হোসেন, এনামুল হক, মোরসালিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহম্মেদ, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, গাজী সারোয়ার হোসেন, মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।