নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সময়ের আগেই অনেক বেশি বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলীÑ উপলব্ধিটা ল্যারি হোমসের। সেই হোমস, যিনি ছিলেন আলীর অনুশীলনের সঙ্গী, বন্ধু এবং প্রতিদ্ব›দ্বীও। ১৯৮০ সালে এই হোমসের কাছেই টেকনিক্যাল নকআউট হয়ে নিজের চতুর্থ বিশ্ব খেতাবের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল আলীর। হোমসের আরও একটি উপলব্ধি, ‘কোথায় থামতে হবে, এটাও আলী জানতেন না।’
১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত হেভিওয়েট বক্সিংয়ের খেতাবটি ছিল হোমসের দখলেই। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্ধুর স্মৃতিকে ঘিরে অনেকটাই আবেগপ্রবণ হোমস। জীবন-মৃত্যুর এই লড়াইয়ে আলী যে হেরে গেলেন, ‘আলীর শেষ লড়াইটা ছিল ভয়াবহ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে। ওর বিদায়ে আমি ভেঙে পড়েছি। আমরা ছিলাম অনুশীলনের জুটি, সেখান থেকে বন্ধুত্ব; প্রতিদ্ব›দ্বীও ছিলাম একে অপরের। সে ছিল বক্সিংয়ের গৌরব। সে যুক্তরাষ্ট্রের গৌরব। সে কালো মানুষের গৌরব। আলী লড়ে যেত, লড়াই থেকে কখনো তাকে পিছু হটতে দেখিনি, সেটা রিংয়ে হোক কিংবা জীবনের অন্য কোনো জায়গায়। পৃথিবীর ইতিহাস তাকে অন্যতম সেরা লড়িয়ে হিসেবে মনে রাখবে। তার বিদায়ে আমি খুব কাছের একজন মানুষকে হারালাম।’
১৯৮০ সালে আলীর বিপক্ষে সেই লড়াইটা স্মরণ করেছেন হোমস। অনেকেই বলেন, চতুর্থ হেভিওয়েট খেতাবের হাতছানিতে হোমসের বিপক্ষে রিংয়ে নামলেও পুরোপুরি ফিট আলী ছিলেন না। ততদিনে নিজের ক্ষিপ্রতা হারিয়ে ফেলেছেন, হারিয়ে ফেলেছেন ছন্দ। তার ওপর হোমসের বিপক্ষে সেই লড়াইয়ে পরবর্তী সময়ের পারকিনসন্স রোগের লক্ষণগুলোও অনেকাংশে প্রকাশ পেয়েছিল।
জিতে গেলেও সেই লড়াইটাকে কেন যেন উদ্যাপন করতে পারেন না হোমস। হয়তো আলী তাঁর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন বলেই। বলেছেন, ‘১৯৮০ সালের ২ অক্টোবর, লাস ভেগাস। কিছুতেই ভুলতে পারি না সেই দিনটির কথা। আলীর টাকার দরকার ছিল। অবসর ভেঙে সে আমার সঙ্গে লড়তে এসেছিল। কিন্তু লড়াইয়ের আগে ওকে দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমি জানতাম আমি জিতব। আমার মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না। ১০ রাউন্ড খেলাটা টানা হলো। এরপর আলীর ট্রেনার অ্যাঞ্জেলো ডান্ডিই লড়াইটা শেষ করে দেয়।’ আলী নিজের শরীরে আঘাতের পর আঘাত নিতেন। অনুশীলনের সঙ্গী হিসেবেই হোমস তাঁকে এই কাজটা কমিয়ে করতে বলেছিলেন, ‘আমি আলীকে বলেছিলাম, মাথায় আঘাত নিও না। মাথা আঘাত নেয়ার জন্য তৈরি হয়নি।’
বন্ধুর প্রতি যথেষ্ট অভিমানও আছে হোমসের। হোমসের অভিমানটা দুটো জিনিস নিয়ে। একটি হচ্ছে আলী নিজের শরীরের ওপর অনেক বেশি অত্যাচার করেছে, দ্বিতীয় হচ্ছে সে ঠিকমত বোঝেনি যে কোথায় নিজের শেষটা জানিয়ে দিতে হবে, ‘আলী বুঝতে পারেনি কখন তাকে শেষ করতে হবে। ঘুষির আঘাতগুলো ওর শরীরের অনেক ক্ষতি করেছে। ওকে আমি দারুণ ভালোবাসি। ওকে খুব ভালো করেই চিনি। তাই এই কথাগুলো বলছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।