পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিজরী সালের দ্বাদশ তথা শেষ মাস যিলহজ। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হজ পালন করার জন্য নির্ধারিত রয়েছে এ মাস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সচ্ছল মুসলিমরা মক্কা মুয়াজ্জমায় সমবেত হয়ে অবস্থান করেন ফরজ হজ পালনের জন্য। এ মাসের ৯ম তারিখে সব মুসলিমকে আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হয়। একেই বলা হয় হজ।
ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন : ‘আরাফার স্থানটি মৌলিক ইবাদতগুালোর একত্রিত হওয়ার স্থান। যেমন : সালাত, সিয়াম, সাদাকাহ এবং হজ। এগুলো অন্য কোনো স্থানে একই দিনে আর কোথাও হয়ে থাকে না। এজন্য এ দিবসের মর্যাদা অন্যান্য দিবসের চেয়ে অনেক বেশি। ফাতহুল বারী-২/৪৬০
আরাফার দিবস সম্পর্কে যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আরাফার মাঠে অবস্থান করাই হলো হজ্জের মূল।’ তুহ্ফাতুল আহওয়াযী- ৩/৪৫০
ইবনু রজব হাম্বলী বলেন : আল্লাহ তায়ালা কাবাঘর প্রত্যক্ষ করার মাধ্যমে মানুষের মনের মাঝে এমন এক আবেগ ও আকর্ষণ সৃষ্টি করে দেন, যা বারবার পূরণ করা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আল্লাহ তায়ালা হজকে মানুষের জীবনে মাত্র একবার ফরজ করেছেন। কিন্তু যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের এমন কিছু আমলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যা নিজ বাড়িতে বসে করলেও জিহাদের চেয়ে অনেক বেশি ফযিলত পাওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ। লাতাইফুল মাআরিফ-৩১০
উল্লিখিত আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝা গেল যে, আরাফার দিবসের রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পূর্বের এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। অনুরূপ যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের নেক আমলের (যেমন নফল সলাত, সিয়াম, সদাকাহ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযগার ইত্যাদি) ফজিলত অনেক বেশি, যা কুরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত। সুতরাং উক্ত দিনগুলোতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে বেশি করে নেক আমল করার তাওফিক দান করেন, আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।