বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২০১৮ সালে এ তালিকায় দেশের এই সমুদ্রবন্দরের অবস্থান ছিল ৭০তম, ২০০৮ সালে ছিল ৯৫তম
বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ৬ ধাপ এগিয়ে ৬৪তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।
২০১৮ সালে এ তালিকায় দেশের এই সমুদ্রবন্দরের অবস্থান ছিল ৭০তম। ২০০৮ সালে ছিল ৯৫তম।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডের বহুল জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’ তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
লয়েডস লিস্ট অনুযায়ী বিশ্বের এক নম্বর সমুদ্রবন্দর হিসেবে অবস্থান রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দরের। এই তালিকায় এখন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের অবস্থান ৬৪তম। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ নানা ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈশ্বিক অবস্থানে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা।
প্রকাশিত তথ্যে এবার ‘ওয়ান হানড্রেড পোর্টস ২০১৯’ শীর্ষক ওই তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর। ২০১৮ সালেও বন্দরটি শীর্ষে ছিল। যথারীতি দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে সিঙ্গাপুর পোর্ট।
তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম অবস্থান চীনের বিভিন্ন বন্দরের দখলে রয়েছে এবার। ষষ্ঠ অবস্থানে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দর। দশম অবস্থানে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই পোর্ট। নেদারল্যান্ডসের রটারডেম পোর্ট রয়েছে ১১তম অবস্থানে।
মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ১২তম হয়েছে।প্রতিবেশী দেশ ভারতের জওহরলাল নেহেরু বন্দর ২৮তম ও মুন্দারা ৩৬তম অবস্থানে রয়েছে। শততম অবস্থানে রয়েছে তাইওয়ানের তাইপে বন্দর।
লয়েডস লিস্টের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। ২০১৭ সালে যা ছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২২৩ টিইইউ’স। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
অন্যদিকে বিশ্বসেরা চীনের সাংহাই ২০১৮ সালে হ্যান্ডলিং করেছিল ৪ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ২০০ টিইইউ’স। ২০১৭ সালে যা ছিল ৪ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার টিইইউ’স। প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সরকার ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় বন্দরের জন্য ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ বা ‘কিউজিসি’সহ আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ, ইয়ার্ড ও টার্মিনাল ফ্যাসিলিটি বাড়ানো, অটোমেশন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণেই লয়েলডস লিস্টে বিশ্বের সেরা বন্দরের তালিকায় ৬৪তম অবস্থানে উন্নীত হতে পেরেছি আমরা। নিঃসন্দেহে এটি জাতির জন্য গৌরবের।
নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি), বে-টার্মিনাল অপারেশনে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ক্রমে বাড়বে। তখন বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম আরও অনেক এগিয়ে আসবে।’ যোগ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।