মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে হুশিয়ার করে বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের পুরনো দ্ব›দ্ব বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করবেন না। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এক বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের আচরণবিধি নিয়ে চীন ও আসিয়ানের সদস্যরা সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করেছে। খবর এপির। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, তার দেশ এ অঞ্চলে অন্য যেকোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরোধী। তিনি আরও বলেন, চীন ও আসিয়ানের অন্য সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে। অতীতের মতো এমন ধারণা তৈরি করা এ অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর উচিত হবে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যখন থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন এবং তার সঙ্গে ওয়াং ইর বৈঠকের কথা রয়েছে, তখন তিনি এসব কথা বললেন। এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। অপরদিকে, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চাইছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ দল থেকে তার প্রার্থিতাও বলা চলে প্রায় নিশ্চিত। তবে চীনের বিরুদ্ধে তিনি যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন শেষ পর্যন্ত মার্কিন নির্বাচনেই তাকে এর খেসারত গুণতে হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের যে অঙ্গরাজ্যগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সয়াবিন উৎপাদন করে সেসব রাজ্যে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার ট্রাম্পের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রফতানির ৬০ শতাংশই হয় চীনে। কিন্তু ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় চীনে মার্কিন সয়াবিন রফতানিতে ধস নেমেছে। ফলে শস্য বিক্রি করতে না পারায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা। ক্ষোভে ট্রাক্টর দিয়ে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন অনেক কৃষক। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাবে পচে যাচ্ছে অনেকের শস্য। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সয়াবিন উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোতে তার কাঙ্ক্ষিত ভোট পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনে এসব রাজ্যে ভালো ফলাফল করেছিল ট্রাম্পের দল ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি। ট্রাম্পের নীতির ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন এসব রাজ্যের কৃষকরা। ফলে সংগত কারণেই আগামী নির্বাচনে ফের ট্রাম্পের প্রতি রায় দিতে হয়তো দ্বিতীয় বার ভাবনার অবকাশ থাকবে তাদের। কেননা বিদেশি পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে হোয়াইট হাউস তার প্রত্যক্ষ শিকারে পরিণত হয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান শিবিরে। ৩১ জুন ক্লিভল্যান্ড ডটকমে লেখা এক কলামে বিষয়টির অবতারণা করেন রিপাবলিকান পার্টির একজন সিনিয়র রাজনীতিক। রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।