গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পাঠ্যপুস্তক থেকে ডারউইনের ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষা বাতিল এবং সকল স্তরে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ইসলামধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওলামায়ে কেরামের এক মানববন্ধন থেকে। গতকাল সকাল ১১টায় আয়োজিত কর্মসূচিতে শীর্ষস্থানীয় ইসলামী নেতৃবৃন্দসহ দলমত নির্বিশেষে কয়েক হাজার আলেম শরীক ছিলেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আহবায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, মুসলিম শিক্ষার্থীদের মননে নাস্তিক্যবাদের বীজ বুননের অসৎ উদ্দেশ্য থেকেই ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স স্তর পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে ‘বিবর্তনবাদ’ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিবর্তনবাদ মানুষ ও বানরের পূর্ব পুরুষ একই সাব্যস্ত করে। অথচ পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে বলেছেন, মানব জাতির উৎপত্তি হযরত আদম (আ.) থেকেই শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিবর্তনতত্ত¡ মতে শুধু মানুষের আদি পিতা বানর সাব্যস্ত করেই শেষ নয়। বরং এই মহাবিশ্ব, গ্রহ, উপগ্রহ, সমগ্র প্রাণীজগত এবং তরুলতাসহ সকল সৃষ্টি যে অত্যন্ত সুনিপুণ ও সুবিন্যস্তভাবে আল্লাহ তাআলা নিজ কুদরতে সৃষ্টি করেছেন, এই বিশ্বাসটাই আর অক্ষুণœ থাকে না। এই মতবাদ মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদা বিরোধী কুফরী মতবাদ। এই মতবাদে বিশ^াস করলে ঈমান থাকবে না।
তিনি বলেন, এই শিক্ষা কুপ্রভাবে সমাজ ও ব্যক্তিজীবন থেকে ধর্মীয় বিধিনিষেধ উঠে যেতে শুরু করবে। ধর্মীয় বিয়ে মানবে না। বিয়ের বহুবিধ দায়বদ্ধতা ছাড়াই লিভটুগেদারে আগ্রহী হবে। জারজ সন্তানে দেশ ভরে যাবে। মদ, জুুয়ার বিধিনিষেধ মানবে না। সমকামিতার বৈধতা নিয়ে আন্দোলন হবে। মানবতাবোধ হারিয়ে যাবে এবং ভোগবাদে মানুষ ডুবে যবে। আল্লাহ, রাসূল, ইসলাম নিয়ে কট‚ক্তি এবং আলেম-উলামা, ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্মভীরু মানুষকে বাধা ও বিরক্তিকর ভাবতে শুরু করবে।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, ঈমান-আক্বিদা ও সমাজিক শৃঙ্খলাবিরোধী ডারউনের কুফরী ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষা পাঠ্যপুস্তক থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ঈমান-আক্বিদাবিরোধী এই কুফরী শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির সাথে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এবং শিক্ষার সকল স্তরে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ইসলামধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মধ্যে শরীক ছিলেন- আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন খুলনা, মাওলানা শফিক উদ্দীন, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মাওলানা গাজী ছানাউল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।