Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের দাপটে গ্রামছাড়া সাবেক পুলিশ অফিসার

এতিমখানার জমি দখলের চেষ্টা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৩ এএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) আবুল কালাম আজাদের হুমকি ও দাপটে গ্রামছাড়া এক সাবেক পুলিশ অফিসার। এতিমখানার নামে বরাদ্দকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও বাউন্ডারি ভাঙচুর করার পরও ওই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইলের চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই গ্রামের সাবেক পুলিশ অফিসার নজরুল ইসলাম।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, ডোয়াইলের চর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মণ্ডলের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার নজরুল ইসলাম পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত ডোয়াইল মৌজার ১৬ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছেন। এতিমখানার নামে বরাদ্দকৃত জমিটির আরওআর রেকর্ড নজরুল ইসলামের নামে থাকলেও বিআরএস রেকর্ড ভুলক্রমে একই বাড়ির আরফান মন্ডলের ছেলে হানিফ মন্ডলের নামে হয়ে যায়। এ নিয়ে জামালপুর জেলা জজ আদালতে মামলা হলে বিজ্ঞ আদালত ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নজরুল ইসলামের পক্ষে রায় (ডিক্রি) দেন। কয়েকদিন আগে ওই জমির কেয়ারটেকার শাহীনুর রহমান রিপন চারপাশে টিন ও বাঁশ দিয়ে বাউন্ডারি তৈরি করেন। সোমবার সকালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) আবুল কালাম আজাদ ওই জমিটি জবরদখলের চেষ্টা ও বাউন্ডারি ভেঙে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী অফিসার নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘বাউন্ডারি করার সময় ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ লোকজন দিয়ে তাঁর কেয়ারটেকারের কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন। তা না দেওয়ায় কেয়ারটেকারকে হুমকি দিলে প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভাইস চেয়ারম্যান বাউন্ডারির টিন, বাঁশ ও খুটি ভেঙে নিয়ে যান। এতে দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই জমিতে এতিমখানা বানানো হবে, কিন্তু আমি তাঁর হুমকির কারণে গ্রামে যেতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জমিটি নিয়ে হানিফ মন্ডলের সাথে নজরুল ইসলামের বিরোধ আছে। হানিফের পরিবার নীরিহ বলে কিছু বলতে পারে না। তাই আমি নিজে গিয়ে জমিটির বাউন্ডারি ভেঙে দিয়েছি।’

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ