পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, নবম-দশম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের ঈমান-আক্বীদা বিরোধী বিবর্তনবাদ শিক্ষা প্রত্যাহার করতে হবে। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত¡ ঈমান-আক্বীদার সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাসে ঈমান বিরোধী এ মতবাদ কিছুতেই থাকতে পারে না। এই ভ্রান্ত মতবাদের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো সৃষ্টিকর্তার ধারণা থেকে মানুষকে বের করে আনা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজীর পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতী বশীরুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মুফতী সালীমুল্লাহ ও মাওলানা বোরহান উদ্দীন। মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, পবিত্র কোরআনের অসংখ্যা আয়াতে মহান আল্লাহর ঘোষণা রয়েছে যে, আমি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছি। তাদের উভয় থেকে বিস্তার করেছি অগণিত পুরুষ ও নারী। সুতরাং একটি মুসলিম দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী আক্বীদা-বিশ্বাস বিবর্জিত এ জাতীয় শিক্ষা মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বির্বতনবাদের এই অনৈসলামিক শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হলে দেশে নাস্তিকতা অকল্পনীয় হারে বৃদ্ধি পাবে। অনতিবিলম্বে ইসলাম বিরোধী বিবর্তনবাদ শিক্ষা বাতিল করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।