নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : যে ছেলেটি গত ১ বছর ধরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে নিয়মিত, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিং (৬/১৯) যে ছেলেটির, গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই কৃতির পর এবং এ মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট (৫/২১) সেই সনজিত সাহার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৪৩ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ যুবারা যখন সেলফি তোলায় ব্যস্ত, ঠিক সে সময়ে ম্যাচ রেফারী গ্রায়েম ল্যাবরয় টীম ম্যানেজার এএসএম ফারুককে। দিলেন দুঃসংবাদ। অফ স্পিনার সনজিত সাহার বোলিং অ্যাকশন ত্রæটিপূর্ণ, ইংলিশ আম্পায়ার রবিনসন এবং ভারতের আম্পায়ার সামছুদ্দিন এমন রিপোর্টই নাকি দিয়েছেন ম্যাচ রেফারীকে!
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৮ ম্যাচে ২৬ উইকেট, রংপুর বিভাগের হয়ে খুলনার বিপক্ষে ইনিংসে ৭ উইকেট আছে এই ছেলেটির। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেরা একাদশ তাকে ছাড়া ভাবতেই পারে না টীম ম্যানেজমেন্ট। এখন তাকে নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আগামী ৩১ জানুয়ারী স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ টীম ম্যানেজমেন্টের জন্য বড় দুর্ভাবনা সনজিত ইস্যু। গতকাল অবশ্য সনজিত লম্বা সময় ধরে করেছেন নেটে বোলিং, করেছেন নেটে ব্যাটিং অনুশীলন। তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে চেষ্টা করছে দলের সবাই। এ তথ্যই দিয়েছেন টীম ম্যানেজার এএসএম ফারুকÑ ‘আমি ঘটনাটি নিজ মুখে জানাইনি সনজিতকে। ঘটনাটি শুনে ও ভেঙ্গে পড়তে পারে এই শংকায় ওকে কিছু বলিনি। তাই আজ ওকে অনুশীলনে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। দলের সঙ্গে থেকে একটা ছেলে মনমরা থাকলে অন্য টীমমেটদের মন খারাপ হতে পারে। তাই আমরা সবাই তাকে চাঙ্গা রাখতে চাইছি।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বোলারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলে দুই সপ্তাহের মধ্যে আইসিসি স্বীকৃত কোনো ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়। ফল না আসা পর্যন্ত বোলিং করা যায়। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ব্যাপারটি একটু আলাদা। আইসিসির একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বুধবারের ম্যাচে সঞ্জিতের বোলিংয়ের ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখবেন। তার জন্য দ.আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সনজিত সাহার বোলিংয়ের ভিডিও ক্লিপিংস পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই ভিডিও দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আদৌ সনজিত বোলিং চালিয়ে যেতে পারবে কি না, তা পরিষ্কার নয় ম্যানেজার এএসএম ফারুকের কাছে।
আইসিসি’র রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া এই মুহূর্তে করণীয় কিছুই নেই বলে মনে করছেন এএসএম ফারুকÑ ‘সনজিতের কোন ডেলিভারীটি সন্দেহজনক, ত্রæটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের আওতায় পড়ে, সে ব্যাপারে কিন্তু কিছুই জানানো হয়নি আমাদেরকে। ফলে আমরা সনজিতের সেই বিশেষ ডেলিভারী নিয়ে কাজ করতে পারছি না বলতে পারেন সনজিতকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ম্যাচ রেফারী বলেছেন তিন দিনের মধ্যে ওর (সনজিত সাহা) বোলিং নিয়ে আইসিসি’র রিপোর্ট আসবে। তাই তাকে পরবর্তী ম্যাচে খেলানো যাবে কি না, তা নিশ্চিত নই। সে কারণেই আমরা ওকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা যে হোটেলে উঠেছি, একই হোটেলে ম্যাচ রেফারী গ্রায়েম ল্যাবরয়ও উঠেছে। আমি নিজে গিয়েই তার কাছে ব্যাপারটি জানতে চাইব। কারণ, পরবর্তী ম্যাচের দল তো ম্যাচের আগের দিন ঠিক করতে হবে।’ তবে সনজিতের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহের কিছুই দেখছেন না কোচ মিজানুর রহমান বাবুলÑ ‘ওর অ্যাকশন দেখে সন্দেহজনক মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের সবার বিশ্বাস, ওর অ্যাকশন ঠিকই আছে। ল্যাবে পরীক্ষা করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে ১৫ ডিগ্রির সীমা ছাড়ায় না ওর কনুই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।