পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীকাল সোমবার থেকে ঈদুল আজহার আগাম ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে। আগাম টিকিট বিক্রির প্রথমদিন ৭ আগস্টের টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা। তবে রেলসেবার অ্যাপ ব্যবহার করে অনেক যাত্রী নির্ধারিত শিডিউলের বাইরে ৬ আগস্টের টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। কিন্তু গত ঈদের মতো এবারও আগাম টিকিট বিক্রির অ্যাপের সার্ভার ডাউন হয়ে পড়েছে। গত ঈদুল ফিতরে একই কারণে হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশী হয়রানির শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগিরা বলেন, আজকের মতো অবস্থা থাকলে এবারও আগের ঈদের মতোই ভোগান্তির শিকার হতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
টিকিট প্রত্যাশী ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে আজ রোববার (২৮ জুলাই) কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই রেলের অ্যাপ ‘রেলসেবা’ কাজ করছে না। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রির একদিন আগেই অ্যাপে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যদিও বলা হয়েছিল, এবার অ্যাপটি একসঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ অ্যাপে হিট নিতে পারবে।
গত ঈদে অ্যাপ ব্যবহারে চরম ভোগান্তি আর অব্যব্যস্থাপনার অভিযোগ ছিল রেলওয়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএসবিডি) বিরুদ্ধে। সিএনএসবিডি ২০০৭ সাল থেকে রেলের টিকিটিং পদ্ধতি পরিচালনা করছে। অনলাইন ও অ্যাপের কাজও তারা করছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবার ই-টিকিটিং সিস্টেমের অবস্থার উন্নতি হবে।
আজ সকালে আরিফ নামের একজন যাত্রী জানান, সকাল ৯টার পর থেকে এই অ্যাপের সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করছেন। আরেকজন বলেছেন, একঘণ্টা চেষ্টা করে অবশেষে টিকিট পেয়েছি। কিন্তু অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ করছে না।
আরেকজন ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখেন সাইট সার্ভার ডাউন হয়ে আছে। অ্যাপের সমস্যা আবার কেন হচ্ছে এমনটা জানতে সিএনএসবিডির একাধিক কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে মো. শামছুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ এর আগে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিএনএসবিডি’র সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ। এরপর একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেলের আইটি সাপোর্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, তাদের তৈরি করা অ্যাপে গত ঈদুল ফিতরে ৯৫ ভাগ টিকিট যাত্রী টিকিট কাটতে গিয়ে জটিলতার মুখে পড়েন। এ তথ্য তারা নিজেরাই প্রকাশ করেন। এছাড়া বছরের পর বছর ঈদের সময়ে সার্ভার বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা তো আছেই।
আড়াই মাস পর একই চিত্র ঈদুল আজহার টিকিট বিক্রিতেও। বিক্রি শুরুর আগের দিনেই অ্যাপে লগইন সমস্যা ও ওয়েবসাইটে সার্ভার ডাউন দেখানো শুরু করেছে।
গতবার অ্যাপ নিয়ে অভিযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। মন্ত্রী তখন ঘোষণা দিয়েছিলেন, সিএনএসবিডি যদি ঈদ টিকিট ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে না পারে তাহলে তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে না। উল্লেখ্য, কয়েকবছরের জন্য চুক্তি নবায়নের দরখাস্ত আগেই রেলভবনে দিয়ে রেখেছে সিএনএসবিডি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।