পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার মিশন নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল শনিবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন । শনিবার সকালে মিয়ানমারের এই প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার বিমানবন্দর হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। প্রতিনিধি দলের সাথে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শামসুদ্দোহা নয়ন ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরওয়ার কামালসহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শামসুদ্দোহা নয়ন জানান, মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে সেখানে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদেরকে জানিয়েছেন তারা মিয়ানমার ফিরে গেলে কি কি সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উ মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে দেশটির দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক কু কু নাইং ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের চার কর্মকর্তা সহ ১০ জন, এবং আশিয়ানের ৬ কর্মকর্তা।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দল ক্যাম্প পরিদর্শনশেষে রোহিঙ্গাদের একটি অংশের সাথে আলোচনায় বসেন। এ সময় ৩৫ জন রোহিঙ্গার সাথে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল কথা বললেও রোহিঙ্গারা তাদের আশ্বাসে সম্মত হয়নি বলে জানা গেছে। তবে বিকেলে অথবা আজ রোববার আবারো তাদের সাথে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সাথে রোহিঙ্গাদের আলোচনা চলাকালে পাশেই রোহিঙ্গাদের অপর একটি অংশ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
তারা প্লাকার্ড হাতে নিয়ে তাদের নিরাপত্তা, নাগরিকত্বসহ মিয়ানমারে ফিরতে চায় এবং তারা বাঙ্গালী নয় রোহিঙ্গা বলে শ্লোগান দেয়। তাদের দাবি পুরণ হলে তারা দ্রুত মিয়ানমারে ফিরতে চায় বলেও তারা দাবি তোলে।
বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম এবং কূটনৈতিক মাধ্যমে মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার সরকারের এ প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। তারা কিভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে রাজি করা যায় সে বিষয়ে কথা বলছেন।
বাংলাদেশ আশা করছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদেরকে তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে রাজি করাতে পারবেন এবং মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বসহ তাদের মৌলিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করবেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৪ আগস্টের পর মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সেখানকার মগ দস্যুদের সীমাহীন নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। এখন উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ ক্যাম্পে অবস্থান করছে তারা। বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় তাদের মানবিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।