পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার হুরমত উল্লাহ কলেজে প্রিন্সিপালের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তে নেমেছেন ময়মনসিংহ শিক্ষা র্বোড। এনিয়ে কলেজের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মীর মোজাম্মেল হোসেন মানিকের বিরুদ্ধে।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক শেখ মো: হাবিবুর রহমান জানান, কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফজলুর রহমান ২০১৯ সালের ২ ফেব্রæয়ারি কলেজ প্রিন্সিপালের প্রত্যক্ষ মদদে অবৈধভাবে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগ সরেজমিনে তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা গফরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসার দ্বীপক কুমার পাল জানান, উভয় পক্ষকে ডেকে বক্তব্য শুনছি। এতে কিছু সত্য-মিথ্যা রয়েছে বলে ধারণা করা যায়। তবে সরেজমিনে তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফজলুর রহমান অভিযোগে দাবি করেন, ২০১৫ সালে কলেজের অধ্যক্ষ মীর মোজাম্মেল হোসেন মানিক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন- হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক লুলু আফরোজা, কৃষি শিক্ষার মাসুদ আহমেদ, পদার্থ বিজ্ঞানের মাহিরুল ইসলাম, রসায়নের আতা উল্লাহ, জীব বিজ্ঞানের শাহরিন মুস্তারি রোমা, গণিতের রাফিয়াতুল রিফা।
ওই সময় কলেজ অধ্যক্ষ জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজের মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং বি-এম শাখা চালু দেখিয়ে নিয়োগ প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাণিজ্য করেছেন। একই সময়ে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে উপজেলার যশরা গ্রামের রুবেল মিয়ার কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নেন অধ্যক্ষ মীর মোজাম্মেল হোসেন মানিক। তখন চাকরির আশ^াসে রুবেল এক বছর বিনা বেতনে কলেজে পাঠদান করান। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে চাকরি না দিয়ে ভালুকা উপজেলার এক নারী শিক্ষিকার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফজলুর রহমান দাবি করেন, ২০১৫ সালে নিয়োগ প্রাপ্তদের বেনবেইজ দেখানো হলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারের দফতরে তাদের কোন তালিকা নেই। কিন্তু তারা বেতন ভাতা তুলছেন। এতেই তাদের জালিয়াতি প্রমাণিত হয়।
তবে কলেজ প্রিন্সিপাল মীর মোজাম্মেল হোসেন মানিক বলেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। আমি তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি না। এবিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল বলেন, তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে সে মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়োগে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।