গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ২০ দিনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী ও খোরশেদ আলম নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে মতিঝিল ও লালবাগ থানা পুলিশ ১০ দিন করে মোট ২০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, আসামি আসলাম চৌধুরী গত ৫ থেকে ৯ মার্চ বাংলাদেশের সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের কাজে ভারতে যান। ভারতে থাকার সময় বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কবহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আসামি বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেন। এই নীলনকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য সন্ত্রাস, নাশকতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা দেশের অখÐতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং এর জন্য সহযোগিতা চান। আরো বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত হয়ে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ নিয়ে তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে বিশ্বাসী হয়ে ভবিষ্যৎ সুবিধা লাভের আশায় নাশকতামূলক অপরাধ, রাষ্ট্র, সরকার, সার্বভৌমত্ব ধ্বংস এবং সরকার উৎখাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছিল, স¤প্রতি ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেন আসলাম চৌধুরী। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের সরকার উৎখাত করাই ছিল এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর একত্রে ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এ ছাড়া একটি রেস্তোরাঁর এক টেবিলে এই দুইজনের বসে কথা বলার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। ছবিগুলোর উৎস মেন্দি এন সাফাদির ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতা ‘মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস’।
পরে সরকারি দলের নেতারা অভিযোগ করেন, আসলাম চৌধুরী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছেন। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক এজেন্টের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। গণমাধ্যমে এসব বৈঠকের ছবি ও খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা এটাকে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।