Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপরে

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

 ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। আবারো নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচে নামলেও গত মঙ্গলবার থেকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সে.মি. ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে আবারো ২য় দফা বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে বন্যা কবলিত মানুষজনের। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সঙ্কটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষজন। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চরাঞ্চলের চারন ভুমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত বন্যায় পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার বন্যা কবলিত ৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারী ভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারী ও ব্যাক্তি উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এছাড়াও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় অগ্রগতি পর্যালোচনা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান এমপির নির্দেশে ৫শ’ মে.টন জিআর চাল, ১০ লাখ টাকা, ৪শ’ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণ বাবদ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরী এবং ৩ মাসের জন্য ভিজিএফ চলমান রাখার বরাদ্দ দেয়া হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানি

২৫ অক্টোবর, ২০২২
২১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ