নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাহেদ খোকন : ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১১তম আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ উশু ডিসিপ্লিন থেকে দু’টি করে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জপদক জিতেছিল। ওই আসরের অলরাউন্ড ইভেন্টে মেসবাহ উদ্দিন এবং সান্দা ইভেন্টে মাইনাস ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীতে ইতি ইসলাম স্বর্ণপদক দু’টি জয় করেন। মাইনাস ৪৮ কেজিতে ফাহমিদা ইয়াসমিন আরজু এবং মাইনাস ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাসনা খন্দকার পান দুই ব্রোঞ্জ। এই চারজনের মধ্যে কেবল ইতি ইসলাম দলে থাকলেও আসন্ন গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে পদক জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকতে চায় বাংলাদেশ উশু অ্যাসোসিয়েশন।
আগের আসরের আরেক স্বর্ণজয়ী মেসবাহ, ব্রোঞ্জজয়ী ফাহমিদা ও বাসনা নেই এবারের দলে। তারপরও নতুন-পুরানো মিশ্রনের দল নিয়েই স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে লাল-সবুজের উশু।
স্বপ্ন পূরণে গত ৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করে উশু অ্যাসোসিয়েশন। ক্যাম্পে ২০ খেলোয়াড়, চার কোচ ও একজন ক্যাম্প কমান্ডার রয়েছেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সপ্তাহ স্থানীয় কোচদের অধীনে অনুশীলন করলেও ১০ সেপ্টেম্বর বিদেশী কোচ পান খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ উশু দলের উন্নতর প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমার থেকে উড়িয়ে আনা হয় কোচ ইউ আয়ে নাইংকে। প্রায় তিন মাস মিরপুরে অনুশীলন চললেও ৩ ডিসেম্বর উশুর ক্যাম্প নিয়ে আসা হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়ামে। এখানেই বাছাই শেষে চূড়ান্ত দলে জায়গা হয় ১৩ খেলোয়াড়ের। এদের সঙ্গে তিন কর্মকর্তা সহ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে যাচ্ছে উশুর ১৬ জনের বহর।
এবারের এসএ গেমসে উশুর স্বপ্ন কয়েকজন খেলোয়াড়কে ঘিরেই। এ প্রসঙ্গে উশু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডিএম রুস্তম বলেন, ‘থাউলুতে আমির হোসেন ও রহমতউল্লাহ কিশোর এবং সান্দাতে ইতি ইসলামের কাছ থেকে আমরা স্বর্ণপদের প্রত্যাশা করছি। এছাড়া একই ইভেন্টে আনিসুর রহমান রুপা এবং থাইচিতে আনিসুল ইসলাম ও কুংসুতে জিয়াউল হক জিয়ার ব্রোঞ্জপদক জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।’ এছাড়া সান্দা ইভেন্টের মাইনাস ৫৬ কেজিতে আবু সাইদ, থাউলু ইভেন্টে আমির হোসেন এবং দাউসু ইভেন্টে আবু বকর বাংলাদেশের পক্ষে পদক জিততে পারেন বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্বাগতিক ভারত চার ধাপে পরিবর্তন করেছে উশুর বিভিন্ন ইভেন্টের ওজন শ্রেণী। প্রথমে মহিলাদের ৫২, ৫৬, ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীর কথা বললেও পরে তিন ধাপ পেরিয়ে চতুর্থ ধাপে ৬০,৬৫, ৭০ ওজন শ্রেণী ঠিক করে তারা। তাছাড়া থাইলু ইভেন্টে ওয়ার্ল্ড রাউন্ড নাকি ইন্ডিভিজুয়াল হবে তা আমাদের সময় মতো জানায়নি তারা। এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অসহযোগিতাই করেছে আয়োজকরা। যদি তা হতো তবে আমাদের পদক জয়ের সংখ্যা আরও বাড়তো বলে আমি মনে করি।’
ইনচন এশিয়ান গেমসে খেলা উশু কন্যা শিরিন সুলতানাকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন উশু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। এ ব্যাপারে রুস্তম বলেন, ‘এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে কুস্তি ছেড়ে উশুতে যোগ দিয়েছিলেন শিরিন। কিন্তু কোরিয়ার ইনচন থেকে ফেরার পরই স্বীকৃত উশু খেলোয়াড় হয়েও শিরিন আবার কুস্তিতে ফিরে যান। তার এই কর্মকাÐে আমরা হতাশ। কারণ একজন খেলোয়াড় এভাবে ডিসিপ্লিন বদল করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিপাকে পড়ে যান। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি করছি আমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।