Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা হত্যার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ১১:২৩ এএম | আপডেট : ১১:৩৮ এএম, ২৩ জুলাই, ২০১৯

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে বাড্ডার হোসেন মার্কেট ও তেঁতুলতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মো. কামাল ও আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হলো। এদের মধ্যে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনজনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে কালাম ও আজাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা উত্তর বাড্ডায় থাকত।

এর আগে রোববার রাতে মো. শাহীন, জাফর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও বাচ্চু মিয়া নামে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সোমবার আদালতে হাজির করা হলে তিনজনকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জাফর হোসেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় রোববার মধ্যরাতে গ্রেফতার জাফর বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শনিবার সকালে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে তাসলিমাকে হত্যা করে স্থানীয়রা। স্কুলটিতে চার বছরের মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে।

মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১১ বছরের এক ছেলেও আছে নিহত তাসলিমার।

বাড্ডা থানা পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, শনিবার সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।



 

Show all comments
  • আলী ২৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:৪১ পিএম says : 0
    গ্রেফতার গ্রেফতার নাটক বহুত দেখছি ,বিচার দেখি নাই ছোট বাচা তার মা হারালো তার পরিবার কি ফেল তার দায় বার কে নেবে সরকার না জনগন দেশের বিচার খুবই নাজুক ত্রখন খুন করতে ও জনগন ভয় পায় না
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Shahadat Hossain ২৩ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৭ পিএম says : 0
    হেড স্যার কে ও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, ওনার রুম থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময়, উনি পুলিশে ফোন করেননি কেন ? এতটা নির্লপ্ততা কেন ? যেহেতু ভদ্রমহিলাকে হেড মাষ্টারের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সেহেতু ওই ভদ্রমহিলাতো অবশ্যই তাকে বলেছেন যে, উনি ওনার সন্তানের ভর্তির খোজ নিতে এসেছেন। বড় একটা পদ নিয়ে,চুপ করে থাকলেই যে,সব সময় পার পাওয়া যায় না, এইটা ওনার বোঝা দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ