নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিয়ারে সেরা সময়টা পার করছেন সানিয়া মির্জা। সঙ্গিনী মার্টিনা হিঙ্গিসকে সাথে করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। গত বছর উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। গতকাল ক্যারিয়ারে যোগ করলেন আরো একটি শিরোপা। মার্টিনা হিঙ্গিসের জুটি বেঁধে নারী ডাবলসে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপাও। এ নিয়ে টানা তিনটি গ্র্যান্ড সø্যাম জয়ের কীর্তি গড়লেন ভারতের এই টেনিস সুন্দরী। ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের আন্দ্রেয়া হালাভাচকোভা ও লুসি হারাদেচকা জুটিকে ৭-৬ (৭-১), ৬-৩ গেমে পরাজিত করে ইন্দো-সুইস এ জুটি। মেয়েদের দ্বৈতে ক্যারিয়ারে হিঙ্গিসের এটা দ্বাদশ গ্র্যান্ড সø্যাম শিরোপা, আর সানিয়ার তৃতীয়। ভারতীয় এই তারকা সবকটিই জিতলেন সুইস সঙ্গীর সঙ্গে জুটি বেধে। উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনের মেয়েদের দ্বৈতেরও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিঙ্গিস-সানিয়া জুটির এটা টানা ৩৬তম ম্যাচ জয়।
অস্ট্রেলিয়ার রোড লেভার অ্যারেনায় চেকের এই জুটিকে হারাতে অবশ্য ঘাম ঝরাতে হয়েছে সানিয়া-মার্টিনাকে। লড়তে হয়েছে ১০৯ মিনিট। প্রথম সেটে ইন্দো-সুইস জুটিকে হারানোর প্রায় কাছাকাছি চলে যায় চেক জুটি। এই সেট জিততে সানিয়াদের লড়তে হয়েছে ৬২ মিনিট। শেষ পর্যন্ত এই সেট নিজেদের দখলে নেন ৭-৬ ব্যবধানে। দ্বিতীয় সেটে চেক জুটিকে কোনো সুযোগ দেননি। ৪৭ মিনিটের লড়াই শেষে সানিয়ারা জিতেছেন ৬-৩ ব্যবধানে। টানা তিনটি গ্র্যান্ড সø্যাম জিতে উচ্ছ¡াস ঝরছে সানিয়ার কণ্ঠে, ‘যারা আমাদের সমর্থন জুগিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে জানাই ধন্যবাদ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আমার জন্য বিশেষ কিছু। এটা আমার ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টের মতোই। এখানে আমার কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। মার্টিনা অসাধারণ খেলেছে। যা আমাকে শিরোপা জয়ে সহায়তা করেছে।’
এদিকে পঞ্চমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন অ্যান্ডি মারে। আগামিকালের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে বৃটিশ এই তারকার প্রতিপক্ষ রজার ফেদেরারকে হারিয়ে আগেই শেষ ধাপ নিশ্চিত করা নোভাক জোকোভিচ। গতকাল মেলবোর্ন পার্কের রড লেভার অ্যারেনায় প্রথম গেমেই মারের সার্ভিস ব্রেক করা কানাডার মিলোচ রায়োনিচ প্রথম ও তৃতীয় সেট জিতে অঘটনের সম্ভাবনা জোরালো করেছিলেন। তবে শেষ দুই সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন মারে। ত্রয়োদশ বাছাই রায়োনিচের বিপক্ষে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা পাঁচ সেটের ম্যারাথন লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৪-৬, ৭-৫, ৬-৭, ৬-৪, ৬-২ গেমে জেতেন দ্বিতীয় বাছাই মারে। বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড ¯ø্যামে এর আগে চার বার ফাইনালে উঠলেও কখনই শিরোপা জিততে পারেননি মারে। অন্যদিকে, সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচ এর আগে পাঁচবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হন। এবার কি ঘুঁচবে মারের আক্ষেপ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।