নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ওয়ার্কিং কমিটির সভায় নির্বাচক কমিটি পূর্ণগঠনে কমিটির পরিধি ৭ সদস্যের করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। যে প্রস্তাবে ৩ জন নির্বাচকের সঙ্গে জুনিয়র নির্বাচকমÐলী থেকে একজন এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান, হেড কোচ এবং টীম অপারেশন্স ম্যানেজারকে যুক্ত করার প্রস্তাব ছিল। যুগের পর যুগ ধরে চলা জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির আইডিয়া বাদ দিয়ে বোর্ডের খরবদারিত্বমূলক নির্বাচক কমিটি গঠনের ওই প্রস্তাব নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। সমালোচনার মুখে গত সোমবার টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে সভা করে নির্বাচক কমিটিতে ৪ নির্বাচকের সঙ্গে কোচকে যুক্ত করার প্রস্তাবের পক্ষে বিসিবি সভাপতি মত দিলেও বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান এবং টীম অপারেশন্স ম্যানেজারকে নির্বাচক কমিটির বাইরে রাখা হবে বলে নিজের অভিমত দিয়েছিলেন মিডিয়াকে। তবে গতকাল সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। জাতীয় দল নির্বাচন দুই স্তরে করার নুতন আইডিয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট তিন সদস্য বিশিষ্ট বেতনভুক্ত নির্বাচক প্যানেল অপরিবর্তিত রেখে ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাবিত ৭ সদেস্যর কমিটির ফমূর্লার পরিবর্তে ৬ সদস্যের নির্বাচক কমিটিতে করেছেন গ্রহণ। তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটিতে থাকছে প্রধান নির্বাচক পদ, আর ৬ সদস্যের নির্বাচক কমিটির আহŸায়ক হবেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। গতকাল মিডিয়াকে নুতন এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘দল নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আমরা দুইভাগে ভাগ করেছি। নির্বাচক প্যানেলে থাকবেন তিন নির্বাচক। তাদের একজন প্রধান নির্বাচক থাকবেন। দলে কারা আসবে তা ঠিক করবেন তারা। আরেকটি হচ্ছে নির্বাচক কমিটি। এই কমিটি যে গিয়ে গিয়ে দল নির্বাচন করবে তা না। নির্বাচক প্যানেলের তিনজন, কোচ ও ম্যানেজারের পাশাপাশি এই কমিটির আহŸায়ক হিসেবে থাকবেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।’
টীম অপারেশন্স ম্যানেজারের দায়িত্ব এতোদিন দলের লজিস্টিক কাজ দেখাশুনার মধ্যেই ছিল সীমাবদ্ধ। দল নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভুমিকা ছিল না। দ্বি-স্তর বিশিষ্ট দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় টীম অপারেশন্স ম্যানেজারকে যুক্ত করার সপক্ষে বিসিবি সভাপতির যুক্তিÑ ‘ম্যানেজারের দায়িত্ব হচ্ছে, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের মতামত, ওদের চিন্তাধারা উপস্থাপন করা। ওই অনুযায়ী তারা তাদের নির্বাচনের কাজ শুরু করবেন এবং চূড়ান্ত করার আগে আবার তারা বসবেন। ওখানে সবাই স্বাক্ষর করে আমার কাছে পাঠাবে। এখানে দ্বিমত থাকার কোনো সুযোগ নেই।’
মাঠে একাদশ নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব অধিনায়কের, অথচ অধিনায়ককে দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত করা হয়নি। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বোর্ড সভাপতিÑ ‘ম্যানেজার বা অধিনায়ককে রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সব দিক চিন্তা করে দেখেছি, ম্যানেজার হলে কোনো অসুবিধা নেই।’ হেড কোচকে নির্বাচক কমিটির অংশ করে নির্বাচকদের মতো তাকেও মাঠে মাঠে ঘুরে মেধাবী ক্রিকেটার খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন বোর্ড সভাপতি ক’দিন আগে। অথচ, সে অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়ে হেড কোচকে ঘরোয়া ক্রিকেট দেখতে জোর করবে না বিসিবি, এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ ‘প্রধান কোচ কোনো সিরিজের আগেই একটা রিপোর্ট দেবেন। কৌশলগত কারণে তার কোন ধরনের খেলোয়াড় দরকার তা জানাবেন। কোনো দলের বিপক্ষে ক’জন পেসার দরকার, তা বলতে পারেন। আবার কোনো দলের বিপক্ষে বেশি স্পিনার চাইতে পারেন। কোনো সময় ডানহাতি স্পিনার, কোনো সময় বাঁহাতি স্পিনার, কোনো সময় ব্যাটসম্যান বেশি চাইতে পারেন। কোন দলের বিপক্ষে কোন কন্ডিশনে খেলছি সেই কৌশলগত ধারণা প্রধান কোচ দিবেন। তবে কোচের খেলা দেখার বাধ্যবাধকতা নেই। ঢাকায় থাকলে তিনি খেলা দেখবেন। খেলা দেখতে যে তাকে বাইরে যেতে হবে তা নয়। বাংলাদেশে যদি থাকেন তাহলে খেলা দেখবেন।’
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচক কমিটির পরিধি বড় করা হলো। তবে সেরা দল নির্বাচনে চতুর্থ নির্বাচককে নির্বাচকমÐলীতে অন্তর্ভূক্ত করার আইডিয়া থেকে সরে আসলো বিসিবি। নুতন আইডিয়ার দ্বি-স্তর বিশিষ্ট দল নির্বাচন বিসিবি’র পরবর্তি পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।