নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করা যেকোনো ক্রিকেটারেরই আজন্ম লালিত স্বপ্ন। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন তামিম ইকবাল, সেটি নিশ্চিতভাবেই কাম্য ছিল না তার। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির ইনজুরির কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তামিমকে। চাচা আকরাম খান ছিলেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অধিনায়ক। যার অধীনে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। বড় ভাই নাফিস ইকবালও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করেছেন অনুর্ধ্ব-১৭ ও অনুর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে।
সে অর্থে তামিম ইকবাল এখনও পুরোদস্তুর অধিনায়কত্ব করেননি জাতীয় দলের। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু পুরো সিরিজের জন্য এবারই প্রথম দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে। সেটিও এমন এক পরিস্থিতিতে, যা হয়তো কখনোই আশা করেননি তামিম।
বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি, হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে ফেরার উপলক্ষ হিসেবে এসেছিল আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরটি। এখানেও এলো বাধা। ছুটি চেয়ে আগেই সিরিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস। শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগেরদিন ইনজুরিতে পড়েন নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি ও তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যার ফলে অধিনায়ক ছাড়াও তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে হয়েছে ২টি।
গতকাল দেশ ছাড়ার আগে শুনিয়ে গেলেন আশার বানী, দেখালেন চ্যালেঞ্জ জয়ের স্বপ্ন। তবে সিরিজ জিততে দলের সবার সম্মিলিত অবদানের দিকে তাকিয়ে প্রথমবারের মতো দেশকে কোনো সিরিজে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া তামিম, ‘স্কোয়াডে যারা আছে তারা যদি দুই হাতে সুযোগটি লুফে নেয়, তাহলে সেটা বাংলাদেশ দলের পাশাপাশি তাদের জন্যও ভালো হবে। আমি যে ধরনের আশা করেছিলাম খেলার সে ধরনের খেলা বিশ্বকাপে খেলতে পারিনি। এখন সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। আশা করছি ভালো কিছু হবে। দেখি কি হয়।’
তবে গতকালের যাত্রায় তামিমের সঙ্গে যায়নি পুরো দল। তামিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত গেলেও চট্টগ্রামে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক সিরিজ ও ভারতে মিনি রঞ্জিতে খেলার কারণে ১৪ জনের দলের মধ্যে ৭ জনই যাবেন পরে। আফগানিস্তানের ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে খেলে যাবেন এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান ও ফরহাদ রেজা। আজ একাই যাবেন রুবেল হোসেন। ভারত থেকে মিনি রঞ্জি খেলে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
আগামী ২৬ জুলাই কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে টস করতে নামার সময় দেশের ওয়ানডে ইতিহাসের ছোট্ট একটি তালিকায় ঢুকে যাবেন তামিম। বাংলাদেশের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করবেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করা ওপেনারের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে। তামিমের আগে ২০০৬ সালে দেশের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শাহরিয়ার নাফিস ছিলেন অধিনায়ক। এ দু’জনই ছিলেন নিয়মিত ওপেনার। তাদের আগে দেশের ইতিহাসের প্রথম ওপেনার হিসেবে যিনি ছিলেন অধিনায়ক, তিনি মূলত কোনো ওপেনার নন। ২০০৪ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে দেশের ইতিহাসের প্রথম ওপেনার হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অনিয়মিত ওপেনার হাবিবুল বাশার সুমন। মূলত জাভেদ ওমর বেলিমের অনুপস্থিতির কারণেই ইনিংসের সূচনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন সুমন।
শ্রীলঙ্কা সফরের বাংলাদেশ স্কোয়াড : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, ফরহাদ রেজা এবং এনামুল হক বিজয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।