নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন চান দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিস। তার মতে, পাওয়ার প্লে ক্রিকেটে কিছু পরিবর্তন আনলে খেলাটিকে আরো বেশি সহায়ক করে তুলবে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ১০ ওভারের পাওয়ার প্লের সময় এক ইনিংসে শুধুমাত্র দুইজন ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে রাখা যাবে। ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত ৪ জন ফিল্ডার এবং ৪১ থেকে ৫০ ওভার পর্যন্ত ৫ জন ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে রাখা যাবে। নিয়মটি যুক্ত হয়েছে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে। ১৯৯২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকা নিয়মে পাওয়ার প্লে ওভার ছাড়া বাকি ওভারগুলোতে সর্বমোট ৫ জন ফিল্ডার বাইরে থাকতে পারতো।
ক্যালিসের আপত্তি ম্যাচের মধ্যভাগ নিয়ে। কিংবদন্তী ওই অল-রাউন্ডারের মতে ওই সময় যদি ৫ জন ফিল্ডারকে গোলাকার আয়তনের বাইরে রাখার অনুমতি দেয়া যেত, তাহলে ভারসাম্যপূর্ণ ম্যাচ আয়োজনে সেটি আরো বেশি সহায়ক হতো। আইসসির ওয়েবসাইটকে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আর যদি এক বা দুটি ছোট্ট পরিবর্তন আনা যায় তাহলে সেটি বেশ কার্যকরি হবে। কারণ ভাল উইকেটে চাপে থাকা বোলারদের বেশ সংগ্রাম করতে হয়। সে কারণে ১০ ওভার পর ৫ জন ফিল্ডার গোলকের বাইরে রাখার যে নিয়মটি ছিল সেটি আমার মনে হয় বেশি কার্যকর হতো, বিশেষ করে স্পিনারদের ক্ষেত্রে।’
টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের দুই ফর্ম্যাটেই দশ হাজারের বেশি রান ও ২৫০ উইকেট নেওয়া সর্বকালের অন্যতম সেরা এই কিংবদন্তি বলেন, ‘বোলারদের কিছুটা সুযোগ করে দেয়ার জন্য ওয়ানডে ক্রিকেটে আমি ওই একটি জায়গাতেই সমন্বয় চাই। যার ফলে সব সময় ৩৫০ বা ততোধিক রান উঠবে না। মাঝ মধ্যে হয়তো আপনি ব্যাটে বলে ভারসাম্য খুঁজে পান। বিশেষ করে নতুন বলে বোলাররা আলাদা কিছু যোগ করে প্রথম কয়েকটি ওভারকে কঠিন করে তুলতে পারে। বোলারদের জন্য সেটিই কিছুটা বেশী সুযোগ। এ সময় ব্যাটিং দলকে বেশ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।’
টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ সেঞ্চুরির মালিক বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটে বলে ভারসাম্য থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাড়তি একজন ফিল্ডার গোলকের বাইরে রাখতে পারলে সেটি থেকে কিছুটা সুবিধা আদায় করার সুযোগ পায় বোলাররা। না হলে কে আসবে বোলিং করতে? কারণ সেটি বেশ কঠিন কাজ। যে কারণে ভারসাম্য আনাটা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে প্রত্যোকে নিজের মেধার খাটিয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।’
আইসিসির দূত হিসেবে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অল রাউন্ডার ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রশংসা করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মানুষ এখনো ৫০ ওভারের ক্রিকেটকেই বেশি পছন্দ করে। যে কারণে এখনো এটির জনপ্রিয়তা বেশি। অন্যথায় এতটা দীর্ঘ সময় দিয়ে মানুষ হয়তো খেলাটি দেখতো না।’ তবে ক্যালিসের মতে, পাঁচ বা সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ কমিয়ে আনা দরকার। তাতে খেলাটির ওজন আরো বাড়বে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপ দারুনভাবে সফল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘এটি হচ্ছে আইসিসির ক্রিকেট বিশ্বকাপ। যে কারণে অবশ্যই এটি নিয়ে মানুষের বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে। তবে বলের উপর ব্যাটের অতিমাত্রার শাসন নিয়ে আমার কিছুটা অনুযোগ রয়েছে। অবশ্য সেটি খুব বেশী আমলে নেয়ার বিষয় নয়। আমরা প্রচুর সংখ্যক ম্যাচ দেখেছি, যেখানে রোমঞ্চকর ফলাফল এসেছে। যা টুর্নামেন্টকে আরো বেশী আকর্ষনীয় করে তুলেছে। এটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আশা করি ৫০ ওভারের এই খেলাটি আরো এগিয়ে যাবে। কারণ বিশ্বকাপ ক্রিকেট হচ্ছে অসাধারণ এক দর্শনীয় আয়োজন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।