বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে পাশের হার গত বছরের তুলনায় দশমিক ১০ভাগ বৃদ্ধির পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হারও গত কয়েকটি বছরের মধ্যে কিছুটা উন্নতি লাভ করলেও তা এখনো ২%-এর নিচে। বরিশাল শিক্ষাবোর্ডর ৬টি জেলায় এবার জিপিএ-৫ নিয়ে পাশের হার মাত্র ১.৮৯%। এবারো দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ১০% বেশী পাশ করে আশার আলো দেখাচ্ছে। ছেলেদের গড় পাশের হার গত বছরের চেয়ে এবার দশমিক ৩০% বেশী হলেও ২০১৭-এর তুলনায় ২.৬১% কম। বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ৪৯ ছাত্রই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৩৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৪ হাজার ৯৬৮ ছাত্রÑছাত্রীর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৫৩৮ জন অংশ গ্রহণ করে। পাশের হার ৭০.৬৫ %। এবারে পাশের হারে মেয়েদের কৃতকর্মের হার ৭৫.৪৮%, আর ছেলেদের ৬৫.৯৫%। আর এর মধ্যে মাত্র ১.৮৯% অর্থাৎ ১,২০১জন ছাত্রÑছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ৭৩৫, ছেলে ৪৬৬।
এবারো বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগের জয়জয়কার। এ বিভাগে পাশের হার বোর্ডের গড় পাশের চেয়ে ১০%-এরও বেশী, ৮১.৯২%। তবে বিজ্ঞান বিভাগে মেয়েদের পাশের হার ৮৪.৫০%। ছেলেরা পাশ করেছে ৭৯.৬১%। ব্যবসায় শিক্ষায় গড় পাশের হার ৭১.৩৮% হলেও মেয়েরা পাশ করেছে ৭৯.১২%। আর ছেলেদের পাশর হার ৬৬.৩৭%। অপরদিকে মানবিক বিভাগে গড় পাশের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে, ৬৫.৫৬%। এরমধ্যে মেয়েরা পাশ করেছে ৭০.৯৯%। আর ছেলেদের পাশের হার মাত্র ৫৮.৯৭%।
এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ সহ বোর্ডের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ ছাত্রÑছাত্রী পাশ করেছে। যার মধ্যে বরিশালে ৩টি এবং পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে ১টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এবার শূন্য পাশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।
দীর্ঘদিন পরে বরিশাল জেলা পাশের হারে বোর্ডের শীর্ষস্থান দখল করেছে। জেলাটিতে গড় পাশের হার ৭৪.১৭%। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এ জেলার অবস্থান শীর্ষে সর্বমোট ৭০৮। যারমধ্যে মেয়েদের দখলে ৪০৮টি। এর পরের অবস্থান ভোলা জেলার। গড় পাশের হার ৭৩.২৯%। জিপিএÑ৫ পেয়েছে ১৩৬ ছাত্রÑছাত্রী। ৬৯.৫৩% পাশ করে পিরোজপুরের অবস্থান তৃতীয়। জেলাটির ৮ হাজার ৯৯ ছাত্রÑছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৮১জন। যার মধ্যে ছাত্রী ৫৭। ৪র্থ স্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা। এখানে গড় পাশের হার ৬৯.৫২%। আর জেলাটির ৬,৩২৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার অবস্থান ৫ম। পাশের হার ৬৬.৮২%। আর ৫,০৪৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৯জন। যার মধ্যে ছাত্র মাত্র ১৪। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সবচেয়ে করুন হাল এবার পটুয়াখালী জেলার। এ জেলাটিতে পাশের হার মাত্র ৬৫.০৯%। ১২ হাজার ৩৫২ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ১১৪জন জিপিএÑ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ ৪<৫ গ্রেড নিয়ে পাশের হার ছিল ১১.০৬%। জিপিএ ৩.৫<৪ গ্রেডে পাশের হার ১৪.৫৭%। জিপিএ ৩<৩.৫ নিয়ে পাশের হার ১৯.৫৪%। জিপিএ ২<৩ গ্রেডে পাশের হার ২২.০৪%। আর ১<২ গ্রেড প্রাপ্ত ছাত্রÑছাত্রীর হার ১.৫৫%। এ হিসেবে চলতি বছর তুলনামূলক খারাপ ফলাফল নিয়ে পাশের হার গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তি গতবছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তা মোট পরীক্ষার্থীর ২% ছুতে পারেনি।
বুধবার দুপুরে দক্ষিণাঞ্চলের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে সর্বত্র যেমনি আনন্দের বন্যা বয়েছে, তেমনি অনেক ছাত্রÑছাত্রী ও অভিভাবকদের হাহাকারও চাপা থাকেনি। ফলাফল প্রকাশের পরে বুধবার দুপুরের পর পরই বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ মিষ্টির দোকানই খালি হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।