নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিয়মটির প্রয়োগ নিয়মিতই চলে আসছে। নক আউট ম্যাচ টাই হলে সেটির ভাগ্য নির্ধারণে সুপার ওভারের আশ্রয় নেওয়া তাই খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে সুপার ওভারের সব নিয়ম অনুসরণ করা কতটা জরুরি, সেই প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে ফাইনালের মতো ম্যাচে শিরোপা নির্ধারণে বাউন্ডারি সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়ায় আলোচনার খোরাক জমছে অনেক।
বিশ্বকাপের ফাইনালে এবার ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডকে আলাদা করা যায়নি মূল ম্যাচে, আলাদা করা যায়নি সুপার ওভারে। দুবারই দুই দলের স্কোর ছিল সমান। ইংল্যান্ড প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে বাউন্ডারিতে বল বেশিবার পাঠানোয়।
এ নিয়ম নিয়ে সংশয় নেই, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। কিন্তু ফাইনালের মতো ম্যাচে, যেখানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ব্যাপার জড়িত, সেখানে বাউন্ডারি সংখ্যায় এগিয়ে জয় চ্যাম্পিয়ন দলের ওজন কিংবা গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিচ্ছে কিনা, এই প্রশ্ন উঠছে। সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে কোনো রাখঢাক না রেখেই সমালোচনা করেছেন এই নিয়মের। নিজেদের ভাবনা জানাতে বেছে নিয়েছেন তারা টুইটারকে।
ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য গৌতম গম্ভীর টুইটে লিখেছেন, ‘বুঝলাম না, বিশ্বকাপ ২০১৯ ফাইনাল ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হলো বাউন্ডারি দিয়ে! আইসিসির একটি জঘন্য নিয়ম। ম্যাচটি টাই হওয়া উচিত ছিল। আমি ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড-উভয় দলকেই অভিনন্দন জানাতে চাই। দু’দলই বিজয়ী।’
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল বলেন, ‘বাউন্ডারি জেতালো বিশ্বকাপ? ক্রীড়াপ্রেমীরা উইকেট এবং রানই লক্ষ্য করবে (ইংল্যান্ড ২৪১/১০, নিউজিল্যান্ড ২৪২/৮)। দুই দলকেই আমি ভালোবাসি, কিন্তু চরম অসন্তুষ্ট। সে সকল মিডিয়াকে ধিক্কার জানাই যারা মূল বিষয়টা উপস্থাপন করেনি। বাস্তবতা হলো-ম্যাচটি ছিল টাই।’
ভারতীয় সাবেক অলরাউন্ডার ও ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় যুবরাজ সিং টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমি এই নিয়মের সঙ্গে একমত নই। কিন্তু নিয়ম নিয়মই। বিশ্বকাপ জেতায় ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু আমার মন পড়ে আছে শেষ সময় পর্যন্ত নিউজির্যান্ডের লড়াইয়ের মাঝে। অসাধারণ খেলা, মহাকাব্যিক ফাইনাল!!!’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস এক টুইটে এক লাইনে ঝেড়েছেন তার ক্ষোভ, ‘ভালো কাজ আইসিসি...ভালো আপনার রসিকতা!!!’
এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা এক টুইটে লিখেছেন, ‘ক্রিকেটের কিছু নিয়মের দিকে অবশ্যই গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লি টুইট করেছেন, ‘অভিনন্দন ইংল্যান্ড! সমবেদনা নিউজিল্যান্ড। আমি শুধু বলবো, একটি বাজে নিয়মে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়ম পরিবর্তণ করা দরকার।’
ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ তার টুইটারে লিখেছেন, ‘এই বাউন্ডারির নিয়ম হজম করা কঠিন। অনেকটা তাৎক্ষনিক মৃত্যুর মতো-সুপার ওভার চালু রাখা প্রয়োজন ছিল, যতক্ষণ ফল না আসে। বুঝলাম, একজন বিজয়ী নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু এরচেয়ে যৌথ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা ভালো ছিল। নিউজিল্যান্ডের জন্য খুবই বেদনাদায়ক।’
পাকিস্তানের সাবেক পেস তারকা শোয়েব আখতার এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘ওহ সৃষ্টিকর্তা! কী চমৎকার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ! ভালো হতো শিরোপাটা যদি দু’দলকেই ভাগ করে দেওয়া যেত। ম্যাচের সঙ্গে সুপার ওভারও টাই! ইংল্যান্ড বেশি বাউন্ডারি পাওয়ায় জিতে গেছে। লর্ডসের অনন্য এক চিত্রনাট্য।’
সাবেক অজি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। দুর্ভাগ্য নিউজিল্যান্ডের। টুর্নামেন্টের নিয়মকানুন আবার একটু দেখা উচিত। এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল! আরেকটা সুপার ওভার অন্তত হতে পারতো।’
শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যঞ্জেলো ম্যাথুস টুইটারে লিখেছেন, ‘ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা এই খেলায় যৌথ শিরোপা দেয়া যেতে পারতো। ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন, শেষ পর্যন্ত একটি অসাধারণ ম্যাচ উপহার দেয়ায় নিউজিল্যান্ডকেও অভিনন্দন জানাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।