Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রান্ডহোমকে ফেরলেন ওকস

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ৭:৩২ পিএম

৪৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ওকসের বলে ভিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্রান্ডহোম। লাথাম ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন। স্যান্টনার খেলছেন ০ রানে।

দলীয় সংগ্রহ ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২২০ রান।

লাথামের ব্যাটে আশা দেখছে কিউইরা

নিসামে বিদায়ের পর দুর্দান্ত খেলছেন লাথাম। ৪৫ বলে ৩৯ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন তিনি। একটি ছক্কা এ দু’টি চার আছে তার ইনিংসে। গ্রান্ডহোম ১২ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২১১ রান।

চাপ বাড়িয়ে ফিরলেন নিসাম

নিকলস, উইলিয়ামসনের পর এবার নিসামকেও ফেরালেন প্লাঙ্কেট। দুর্দান্ত খেলতে থাকা নিসামকে ১৯ রানে রুটের ক্যাচে পরিনত করে বিদায় করেন তিনি। তার ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ছিল। লাথাম ২৩ রানে খেলছেন। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন গ্রান্ডহোম। নিসামের বিদায়ে চাপে পড়েছে নিউজিল্যান্ড।

দলীয় সংগ্রহ ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান।

উডসের প্রথম শিকার টেলর

আসরের শুরু থেকেই দলের প্রাণভোমরা ছিলেন উইলিয়ামসন ও টেলর। অধিনায়কের ফেরার পর বেশিক্ষন টিকতে পারলেন না টেলরও। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে ১৫ রান করেন এই ডানহাতি। বলটি প্যাডের অনেক উপরে লাগলেও আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু পরে দেখা যায় বলটি স্ট্যাপের উপর দিয়ে যাচ্ছে। লাথাম ১১ রানে ও নিসাম ০ রানে খেলছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৩৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান।

নিকলসকে ফেরালেন প্লাঙ্কেট

দুর্দান্ত খেলতে থাকা নিকলসকে বোল্ড করে ফেরালেন প্লাঙ্কেট। ৭৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনি ৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। শুরু থেকে গাপটিল, এরপর উইলিয়ামসনের সঙ্গেও ভালো জুটি করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি। টেলর ৬ রানে ও লাথাম ০ রানে খেলছেন।

দলীয় সংগ্রহ ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৮ রান।

রেকর্ড গড়েই থামলেন উইলিয়ামসন

অধিনায়ক হিসেবে এক আসরে সর্বোচ্চ রান করে থামলেন উইলিয়ামসন। ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৫৪৮ রান করে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী মাহেলা জয়বর্ধনে। এবার তাকে টপকে যোওয়ার পরই ফিরলেন কিউই অধিনায়ক। প্লাঙ্কেটের বলে বাটলারের তালুবন্দী হয়ে ফেরার আগে তিনি ৩০ রান করেন। প্লাঙ্কেটে আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার ধর্মসেনা। পরে রিভিউ নিয়ে উইলিয়ামসনকে ফেরায় ইংল্যান্ড। ক্রিজে এসেছেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর। কিলস ৪৬ রানে ও টেলর ০ রানে খেলছেন।

দলীয় সংগ্রহ ২৩ ওভারে ২ উইকেটে ১০৩ রান। উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে নিকলসের সঙ্গে গড়া ৭৪ রানের জুটিও ভাঙেন প্লাঙ্কেট।

গাপটিলকে ফেরালেন ওকস

ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে গাপটিলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ওকস। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। ফেরার আগে ১৮ বলে ১৯ রান করেন গাপটিল। তার সঙ্গে কিউইরা রিভিউও হারাল। ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। নিকলস ২০ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান।

আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, রিভিউতে বাঁচলেন নিকলস

ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে কিউই ওপেনার নিকলসের প্যাডের উপরিভাগে লাগা একটি বলের বোলারের আবেদনে আউট দেন আম্পায়ার ধর্মসেনা। পরে গাপটিলের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেন নিকলস। তাতে দেখা যায় বল স্প্যাম্পে আঘাতই করেনি। বেঁচে যান নিকলস। গাপটিল ৬ রানে ও নিকলস ২ রানে ব্যাট করছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০ রান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইরিয়ামসন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানও টসে জিতলে ব্যাটিং নিতেন বলে জানিয়েছেন। কোন দলই আজ মূল একাদশে পরিবর্তন আনেনি।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, এউইন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, রিয়াম প্লাঙ্কেট, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উ্ড।

ইংল্যান্ড একাদশ: মার্চিন গাপটিল, হেনরি নিকলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, জেমস নিসাম, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), কলিন ডি গ্রান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ট্রেন্ট বোল্ট, লোকি ফার্গুসন।

এবারের বিশ্বকাপে লর্ডসে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ফাইনালের আগে। প্রতিটি ম্যাচেই প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে।

শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা জয়ের জন্য ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় লর্ডসে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ইংল্যান্ড এর আগে তিনবার ফাইনালে খেললেও বিশ্বকাপ ছুতে পারেনি। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড গত আসরে সেমির জুজু কাটিয়ে ফাইল খেললেও হেরে যায় প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তবে এই ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন, ক্রিকেট বিশ্ব যে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে তা নিশ্চিতই বলা যায়। বিশ্বকাপের আগে অবশ্য এউইন মরগান এবং কেন উইলিয়ামসন দুই অধিনায়কই আছেন ফুরফুরে মেজাজে। শিরোপা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আছে দল দুটোই।

পরিসংখ্যান:

ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলটা প্রায় সমানে সমান থকালেও এগিয়ে আছে কিউইরাই। ওয়ানেডেতে, বিশ্বকাপে এমনকি ইংল্যান্ডের মাঠেও। তারপরও সাম্প্রতিক ফর্ম এগিয়ে রাখবে স্বাগতকিদের।

ওয়ানডেতে মুখোমুখি:

ম্যাচ: ৯০

নিউজিল্যান্ড জয়ী: ৪৩

ইংল্যান্ড জয়ী: ৪১

টাই: ২

পরিত্যক্ত: ৪

বিশ্বকাপ আসরে:

ম্যাচ: ৯

নিউজিল্যান্ড জয়ী: ৫

ইংল্যান্ড জয়ী: ৪

ইংল্যান্ডের মাঠে:

ম্যাচ: ৩৮

নিউজিল্যান্ড জয়ী: ২১

ইংল্যান্ড জয়ী: ১৭

তবে সব পরিসংখ্যান ছাপিয়ে একটি পরিসংখ্যানে উভয় দলের জন্যই আছে এগিয়ে যাওয়ার সমান সুযোগ। বিশ্বকাপের ফাইনালে কখনোই মুখোমুখি লড়াই করেনি দল দুটি। এবারই প্রথম। তাই ইতিহাসের সাক্ষী হতে এই ম্যাচ জয়ের দিকে দৃষ্টি থাকবে দুই দলের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ