বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মেহেরপুর আন্তঃজেলার সব রুটে টানা চতুর্থ দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের কোনো রুটে বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।
বাস (হল্টে রাখা) সময় সীমা কমাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে প্রতিটি বাস দু’বার চলাচলের পরিবর্তে একবার চলাচলের দাবি জানিয়ে গত ১১ জুলাই থেকে মেহেরপুরের সব আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মেহেরপুর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
বিশেষ করে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে যাওয়া লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তবে আলগামন, নসিমন, করিমন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের একমাত্র ভরসা। ফলে বাড়ছে ব্যয় ও জীবনের ঝুঁকি।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ভূমিকা না দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী, গাংনীর ভমরদহ গ্রামের আখি, সাথী ও আনজিরা খাতুন বলেন, এ দেশে পুলিশ পারেনা এমন কোনো কাজ নেই। অথচ অযাচিতভাবে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। এসব লোকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পুলিশ ও জেলা প্রশাসক শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে পারে।
মেহেরপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আরমান আলী, সাজিদ রহমান, সেন্টু মিয়া ও রাসল আহমেদ জানান, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মাল নিয়ে এসে আমাদের ব্যবসা করতে হয়। সরাসরি বাস চলাচল না করার কারণে খরচ যেমন বাড়ছে। তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, বাস মালিক সমিতির ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তারা উভয়পক্ষই তাদের স্বপক্ষে অনড়। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি হয়নি। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আজ রোববার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে আবারো দু’টি পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এদিকে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বলেন, শ্রমিকদের কোনো অন্যায় দাবি মেনে নেয়া হবে না। তারপরও তারা মালিকদের সঙ্গে বসে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটি লিখিতভাবেও দিতে হবে। তারপর বাস চলাচল শুরু হবে।
জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, বর্তমান নিয়মে শ্রমিকদের ৩৬ দিন গাড়ি চালিয়ে ৪৬ দিন বসে (বাস হল্টে রাখা) থাকতে হয়। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এ কারণে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে দু’বার বাস চলাচলের পরিবর্তে একবার চালানোর দাবি শ্রমিকদের। এটি তাদের যৌক্তিক দাবি বলেও মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই থেকে মেহেরপুরের সব আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।