Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

লড়াইটা সেয়ানে সেয়ানে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঐতিহাসিক লর্ডসের বারান্দার দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে এউইন মরগ্যান ও কেন উইলিয়ামসন। মাঝে শোভা পাচ্ছে স্বপ্নের ট্রফি, বিশ্বসেরার শিরোপা। দু’জনের সঙ্গেই ঝা চকচকে ট্রফিটি হাত বাড়ানো দূরত্বে। ইতিহাস থেকেও যে ঐ অতটুকু দূরত্বে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড! ক্রিকেটতীর্থে দু’দলর চোখেই সেই স্বপ্ন। তবে সেই আরাধ্য স্বপ্নটুকু পুরণ করতে উভর দলকেই যে পাড়ি দিতে হবে ক্রিকেটীয় সাতটি ধাপ। মাঠের লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ড থেকে কিছুটা এগিয়ে নিউজিল্যান্ডই। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম আর ঘরের মাঠের বিশ্বকাপের বিচারে ঢের এগিয়ে স্বাগতিকরা। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে হিসেব যে লেখা হয় নতুন করেই!

টপ অর্ডার : এগিয়ে ইংল্যান্ড
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটিই এখন পর্যন্ত সেরা। এরপর ৩৫ রানের উপরে আর উঠতে পারেনি মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। তিনবার প্রথম ওভারেই যবনিকাপাত ঘটেছে ওপেনিং পেয়ারের। ২০১৫ বিশ্বকাপে ৬৮.৩৭ গড়ে ৫৪৭ রান নেয়া গাপটিল এবারের আসরে কিছুই করতে পারেননি। এবারের আসরে ২০.৮৭ গড়ে তার রান মাত্র ১৬৭।
অন্যদিকে পরিসংখ্যানের বিচারে ইংল্যান্ড পেয়েছে তাদের সেরা উদ্বোধনী জুটি। বিশ্বকাপেএখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। চারটি শতরানের জুটিও আছে তাদের অধিকারে।

মিডল অর্ডার : এগিয়ে ইংল্যান্ড
কিউই অধিনায়ক ইতিমধ্যেই নিজেকে বিশ্বকাপের সেরা নাম্বার থ্রি হিসেবে প্রমান করেছেন। রস টেলরও ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ককে। কিন্তু ১৫.৪২ গড় নিয়ে উইকেটরক্ষট ব্যাটসম্যান টম লাথামের ফর্ম ভাবতে বাধ্য করবে নিউজিল্যান্ডকে।
ইংলিশ কোন ব্যাটসম্যানই উইলিয়ামসনের মতো ধারাবাহিক নয়। কিন্তু জো রুট, এউইন মরগান, বেন স্টোকস এবং জস বাটলারের ভয়ডরহীন ক্রিকেট স্বাগতিকদের পাল্লাই ভারী করছে। বিশ্বকাপে রান তাড়ায়ও এই ব্যাটসম্যানরা দলের জন্য আশার আলো ফুটিয়েছেন।

টেল এন্ডার : এগিয়ে নিউজিল্যান্ড
ফর্মের কারনে বাদ পড়া মঈন আলী ইংল্যান্ডের শেষ সারিতে দুর্বলতার প্রতীক। যদিও সাতে ক্রিস ওকসও ভালো খেলছেন।
ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের শেষের দিকে বড় শর্ট খেলার সক্ষমতা থাকলেও সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন কিউই নাম্বার সেভেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। এই পজিশনে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন ইনিংসও খেলেছেন। মিচেল স্যান্টনারেরও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা আছে।

নতুন বলে বোলিং : এগিয়ে ইংল্যান্ড
ক্রিস ওকসের সঙ্গে জোফরা আর্চারের দ্রæতগতির ডেলিভারির পাশাপাশি শর্ট লেন্থ ডেলিভারি ব্যাটসম্যানদের জন্য মৃত্যুফাঁদ। ইংর‌্যান্ডের এই জুটির ধারাবাহিকতা পুরো বিশ্বকাপেই নজর কেড়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বাহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও ডানহাতি পেসার ম্যাচ হেনরি নতুন বলে আক্রমণ শুরু করে থাকেন। সেমিফাইনালে ভারতীয়দের বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন এই জুটি। এছাড়া টুর্নামেন্টজুড়েই তারা ছিলেন গড়পড়তা।

মাঝের ওভারের ত্রাস : এগিয়ে নিউজিল্যান্ড
লোকি ফার্গুসনের ৯০ মাইল বেগে ছোড়া বল প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক। নিউজিল্যান্ড দলে মাঝের ওভার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করে থাকেন স্পিনার মিচেল স্যান্টনারও। ভারতের বিপক্ষেও দলকে এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড দলে লিয়াম প্লাঙ্কেট এবং মার্ক উড মাঝ ওভারের অন্যতম ভরসা। আবার দুই দিকে টার্ন করানো লেগ স্পিনার আদিল রশিদের মতো বোলারও আছেন আয়োজক শিবিরে। কিন্তু পুরো আসরজুড়েই মাঝের ওভারের সেরা বোলার ছিলেন ফার্গুসন।

ডেথ ওভারে বোলিং : এগিয়ে ইংল্যান্ড
বিশ্বকাপে ডেথ ওভারে সবচেয়ে হিসেবী বল করেছেন জোফরা আর্চার ও মার্ক উড। এই দুই বোলারের ইয়র্কারের পাশিাপাশি ক্রিস ওকসের বুদ্ধিদীপ্ত কাটার অসহায় করেছে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের।
অন্যদিকে কিউই দলে বোল্ট-ফার্গুসনের সমন্বেয়ে গঠিত ডেথ বোলিং আক্রমন। এছাড়াও উইলিয়ামসনের আস্থা আছে জেমস নিসামের কাটারেও। কিন্তু কার্লোস ব্রাথওয়েটের কাছে একওভারে ২৫ রানের বড় ওভারে দলের অস্থা কমেছে হেনরির ওপর।

ফিল্ডিং : সমানে সমান
ফিল্ডিংয়ে নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত। নিসামের উড়ন্ত ক্যাচ, ধোনিকে অবিশ্বাস্য এক থ্রোতে গাপটিলের ম্যাচ বাঁচানো রান আউট। সবমিলিয়ে ফিল্ডিংয়ে দারুণ করছে উইলিয়ামসনের দল। অন্যদিকে বেন স্টোকসের চোখ ধাঁধানো ক্যাচসহ তাদের ফিল্ডিং কিউইদের সমান। উইকেটের পেছনে বাটলার এবং লাথামও আছেন সমানে সমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট

১৬ জুলাই, ২০১৯
১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ