বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাসের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবার মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গত দু’দিনের ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সকালে কোনো বাস জেলা থেকে ছেড়ে যায়নি। থেকে এতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
মেহেরপুর মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, আন্তঃজেলার সব রুটে টানা ৩৬ দিন (প্রত্যেকটি) বাস চালানোর পর ৪৬ দিন বন্ধ রাখা হয় বলে শ্রমিকদের কাজ থাকে না। এতে তাদের মানবেতর জীবন যাপন হয়। বন্ধের সময়সীমা কমাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে প্রতিটি বাস দু’বার চলাচলের পরিবর্তে একবার চালানোরও দাবি আমাদের। মালিকপক্ষ যতোদিন দাবি না মানবে ততোদিন বাস চলাচল বন্ধ রাখবে শ্রমিকরা।
বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল এ বিষয়ে বলেন, শ্রমিকদের এ দাবি আগেও মানা হয়েছিলো। পরবর্তীতে শ্রমিকরাই তা পরিবর্তন করেছে। মালিকদের সঙ্গে না বসেই শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগির সমাধান হবে বলে আশা করছি।
এদিকে শ্রমিকরা হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডাকে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি। সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ খোকন মিয়া, লাইন সেক্রেটারি হাসিদুল মিয়া, বাস মালিক সমিতির নির্বাহী সদস্য সাকিবুর রহমান, বাবুল হোসেন, হাফিজুর রহমান হাফি, মেঘা মিয়া, আব্দুর রশিদ, জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া, লিমন মিয়া প্রমুখ।
গোলাম রসুল বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই শ্রমিক ইউনিয়ন আকস্মিক ধর্মঘট ডেকে যাত্রী দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।
সম্মেলনে জানানো হয়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া বাসমালিক সমিতির লোকাল বাস চলাচল করে। ওই সড়কে ৩৬ দিন একটি বাস চলার পর ৪৬ দিন (হোল্ড) বন্ধ থাকে। দুই জেলার বাস মালিকদের মধ্যে সমন্বয় এবং বাসের সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সারাদেশেই এই নিয়মে বাস চলাচল করে আসছে। কিন্তু মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের অলস বসে থাকার অজুহাত দেখিয়ে হোল্ড করে রাখার সময় কমানোর দাবিতে আকস্মিকভাবে গত ১১ জুলাই দুপুরে ঘোষণা দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। শ্রমিক প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও করেনি। এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করা যাবে না।
এছাড়া, বাসমালিক সমিতির অফিসে এসে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া ছয় শ্রমিকের বিচার করা না হলে তাদের হাতে বাস দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে ধর্মঘট শুরু করে। সেজন্য মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের মেহেরপুর জেলার সীমানা খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার থেকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।