মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের মারেয়া শহরে হামলার তীব্রতা বাড়াতে এবং আইএসের কাছ থেকে দখল পুনরুদ্ধার করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। এর আগে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের জন্য আকাশপথে এসব অস্ত্র পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, সিরিয়ায় স্থল সেনা অভিযান পরিচালনার কথা ভাবছে রাশিয়া। এ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বসেন। তবে এ বিষয়ে সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জোটবাহিনীর বিমান থেকে হালকা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র বিদ্রোহীদের সাহায্যার্থে ফেলা হয়। তিনি বলেন, এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি বাহিনী ছাড়া অন্য কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্য অস্ত্র পাঠাল। সাম্প্রতিক সময়ে আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলের এই মারেয়া শহরে আইএস এবং বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মারেয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী শহর শেখ ঈসা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার বেসামরিক লোক পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘের মতে, মারেয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে এখনো প্রায় ৮ হাজার লোক আটকা পড়ে আছে। এদিকে, আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের দমনে সিরিয়ায় স্থল অভিযান শুরুর বিষয়টি বিবেচনা করছে রাশিয়া। সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার অ্যান্দ্রে ফেওদরোভ বলেন, আসাদবিরোধীদের পরাজিত করতে খুব শিগগিরই সিরিয়ায় বিশেষ বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অনুমোদন করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। এই বাহিনী মোতায়েন করলে পরবর্তীকালে সমঝোতায় প্রভাব পড়বে কিনা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতানৈক্য সৃষ্টি হবে কিনা, তাও ভেবে দেখতে হবে। এই বাহিনীটি গড়ে তোলা হতে পারে সেসব সেনাকে নিয়ে, যারা স্বেচ্ছায় সিরিয়ার সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্রপক্ষের সঙ্গে লড়াই করবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া প্রায় ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এর আগে একাধিকবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। পরে তা রূপ নিয়েছে গৃহযুদ্ধে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা সংঘাতে এ পর্যন্ত চার লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সুযোগে দেশটিতে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলেছে আইএস এবং আল-কায়েদার সিরীয় শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট। চলমান এই গৃহযুদ্ধে আসাদের প্রতি সরাসরি নিজ সমর্থন ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির অন্যান্য মিত্রের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপ নেয়া হলেও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে তা নস্যাৎ হয়ে গেছে। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।