পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে শান্তির রোডম্যাপে সম্মত হয়েছে তালেবান বিদ্রোহী ও যুক্তরাষ্ট্র। কাতারে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তান সরকারের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই সম্মতি এসেছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ জানিয়েছেন, আফগান কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত সামর্থে এবারের দফার আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বাধ্যতামূলক নয় এমন চুক্তিতে বেসামরিক হতাহত বন্ধ এবং ইসলামিক কাঠামোর মধ্যে নারী অধিকার সুরক্ষায় সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা চূড়ান্ত করতে আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে আফগানিস্তানে উৎখাত হয় তালেবান সরকার। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। দীর্ঘ যুদ্ধ অবসানে গত বছরের জুনে কাতারে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সপ্তম দফায় সোমবার দুই দিনের আলোচনা শুরু হয়। মঙ্গলবার আবারও দুই পক্ষের আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে। এই আলোচনায় আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা চূড়ান্ত হওয়ার আগে আফগানিস্তান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে তালেবান। কাবুল সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল সরকার বলে মনে করে তারা। তবে সোমবার কাতারে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ব্যক্তিগত সামর্থে যোগ দিতে সম্মত হয় আফগান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আফগান কর্মকর্তাদের সঙ্গে তালেবানের এই বৈঠককে বড় সাফল্য বলে অভিহিত করেন মার্কিন দূত জালমাই খলিলজাদ। সোমবারের আলোচনায় অগ্রগতির বিষয়ে আফগান নারী নেটওয়ার্কের পরিচালক ও সম্মেলনের প্রতিনিধি ম্যারি আকরামি বলেন, এটা কোনও চুক্তি নয়, আলোচনা শুরুর ভিত্তি। ভালো বিষয় হলো দুই পক্ষই এতে সম্মত হয়েছে। শান্তির রোডম্যাপের শর্তের মধ্যে রয়েছে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুর্নবাসন এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কোনও প্রভাব না থাকা। দুই পক্ষের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান নিজ দেশের মধ্যে আর কোনও যুদ্ধ দেখতে চায় না। আর সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ চুক্তি অত্যাবশ্যক এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।