Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টির নিয়ন্ত্রণে প্রথম সেমিফাইনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ১২:১৬ এএম

আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল আগেই। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই তাই গতকাল ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে মাঠে গড়ালো ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ। শঙ্কাটা বাস্তবে রূপ নেয় নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৪৭তম ওভারে। কিউইদের দলীয় সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ২১১। এরপর শুরু অপেক্ষার প্রহর। পরিকল্পনা ছিল সম্ভব হলে ভারতকে ২০ ওভার ব্যাট করিয়ে ম্যাচ শেষ করার কিন্তু বেরসিক প্রকৃতি তাও হতে দেয়নি।

বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের জন্য পরের দিন রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী একই মাঠে আজ অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচের বাকি অংশ। অর্থাৎ হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ৩.৫ ওভার ব্যাট করবে নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের জন্য ভয়ের খবর হলো, আজও ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি হওয়ার জোর সম্ভবনা রয়েছে। আর খেলা পুরোপুরি পরিত্যক্ত হলে গ্রুপ পর্বের শীর্ষ দল হিসেবে ফাইনালে উঠে যাবে ভারত। নিউজিল্যান্ড আর ব্যাট করতে না পারলে নূন্যতম ২০ ওভারে ভারতকে করতে হবে ১৪৮ রান। আর ডি/এল নিয়মে ৪৬ ওভারে বিরাট কোহলির দলের লক্ষ্য হবে ২৩৭। ৩৫ ওভার হলে করতে হবে ২০৯। ৩০ ওভারে হবে ১৭২।

পূর্বাভাস অনুযায়ী মেঘলা আকাশ আর নতুন উইকেট পেসারদের জন্য তৈরি হয়ে ছিল। এরপরও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেনো টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন তা একটা ধাঁধাঁই বটে। সে যাই হোক চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। মন্থর উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কঠিন যুদ্ধ করতে হয়েছে তাদের। অথচ এখানকার আগের ম্যাচে রান এসেছে স্রোতের মত। আজ যদ্দুর সম্ভব সংগ্রহটা বাড়িয়ে বোলারদের জন্য ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করাই হবে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রস টেইলর আর টম লাথামে প্রথম লক্ষ্য। এরপর ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে বোলারদের। এক্ষেত্রে বোল্ট-সাউদি-হেরনিরা প্রেরণা পেতে পারেন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে হওয়া দু’দলের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে। এ চেয়ে ভালো উইকেটে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল উইলিয়ামসন বাহিনী।

এই মাঠে এখন পর্যন্ত আগে ব্যাট করা দল জিতেছে। এজন্যই হয়ত ব্যাট বেছে নেন উইলিয়ামসন। তবে আগে বোলিং করার সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগায় ভারত। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে মার্টিন গাপটিল আউট হন ১ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় রানও তখন ১! সঙ্গে ভুবনেশ্বর কুমারের হাত থেকেও বের হচ্ছিল আগুনের গোলা।

এমতাবস্থায় দলের সবচেয়ে বড় দুই আস্থার নাম উইলিয়ামসন ও টেইলর এগিয়ে আসেন ইনিংস মেরামতে। হেনরি নিকোলসের (২৮) সঙ্গে ৬৮ রানের সাবধানী জুটিতে প্রাথমিক পথ পাড়ি দেন উইলিয়ামসন। এরপর তার সঙ্গে যোগ দেন টেইলর। এই জুটিতেই ২৯তম ওভারে আসে দলীয় শতক। তাদের ৬৫ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন যোগেন্দ্র চাহাল। পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯৫ বলে ৬৭ রান করেন উইলিয়ামসন। টুর্নামেন্টে তার রান দাঁড়ায় চতুর্থ সর্বোচ্চ ৫৪৮।

টেইলরের সঙ্গে জেমস নিশামের (১২) জুটি বেশিক্ষণ টিকতে দেননি হার্দিক পান্ডিয়া। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আসার পর রান তোলায় গতি বাড়ে। এই জুটি থেকে ২২ বলে ৩৮ রান আসার পর বাজে শট খেলে আউট হন ডি গ্র্যান্ডহোম (১৬)। এরপর লাথামকে (৩*)নিয়ে মাত্র দেড় ওভার খেলতেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ৭৩ বলে ফিফটি করা টেইলর অপরাজিত ছিলেন ৮৫ বলে ৬৭ রানে।

ভারতের পাঁচজন বোলার উইকেট পাঁচটি সমানভাবে ভাগ করে নেন। এদের মধ্যে চাহালই দিয়েছেন ওভারপ্রতি ছয়ের উপরে রান। ৩৪ রানে ১ উইকেট নেন জাদেজা। টানা ফাইনাল নিশ্চিত করতে বুমরাহ-জাদেজাদের চেয়ে ভালো বোলিং করতে হবে বোল্ট-সাউদিদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট

১৬ জুলাই, ২০১৯
১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ