পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাশ্মীরে পরিস্থিতির উন্নতি করতে ব্যর্থ হওয়ার ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই দোষারোপ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। গত সোমবার তারা দুই দেশের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বিতর্কিত এই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে।
কাশ্মীরকে দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে। সেখানে ভারতীয় শাসন থেকে মুক্তি ও পাকিস্তানের সাথে একীভূতির দাবিতে প্রায় এক দশক ধরে স্বাধীনতাকামীরা যুদ্ধ করছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।
গত বছর, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় কাশ্মীর নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে উভয় পক্ষের অন্যায়ই তুলে ধরা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
মানবাধিকার কার্যালয়ের নতুন ফলোআপ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারত বা পাকিস্তান কেউই উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কোনও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’ সেখানে আরো বলা হয়, অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কখনো বিচার হয় না।
২০১৮ সালে করা আগের প্রতিবেদনেও ভারতের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তাদের সেনাবাহিনী কাশ্মীরে সব ধরনের অসদাচরণের জন্য ‘দায়মুক্ত’ থাকে।
সমস্যা সমাধানে দুই দেশ ব্যর্থ হওয়ায় ‘কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো বিস্তারিতভাবে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত’ প্রয়োজন বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গত মাসে উভয় দেশকেই প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছে কমিশন।
জাতিসংঘের সূত্রে জানা যায়, ভারত এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানায় এবং এটি ‘ভ্রান্ত, উদ্দেশ্যমূলক এবং প্রভাবিত (রাজনৈতিকভাবে)’ বলে প্রত্যাখান করে। ২০১৮ সালের প্রতিবেদনেও একইভাবে প্রত্যাখান করেছিল নয়াদিল্লী। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশে বাধা দেয়ার অভিযোগ করা হলেও এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটি।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান থেকেই কাশ্মীর বিভক্ত অবস্থায় আছে এবং নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ উভয়ই এই রাজ্যকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী ও প্রতিদ্ব›দ্বী দুই দেশের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারী মাসে সর্বোচ্চ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। একে অপরের সীমান্ত পেরিয়ে বিমান হামলাও চালিয়েছিল দেশ দু’টি। পরে যুদ্ধের কিনারা থেকে সড়ে আসে তারা। সূত্র : নিউজ রিপাবলিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।