Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৯, ৭:৪৭ পিএম

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া ও একে বিশ্বমানে গড়ে তোলার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা খসড়া প্রণয়নে এ বিষয়ে জড়িত সকল পক্ষকে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেডিক্যাল সার্ভিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. ফসিউর রহমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি’র বাংলাদেশস্থ পরিচালক ডা. মাইকেল ফ্রিডম্যান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডা. হাম্মাম এল সাক্কা। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআর-এর পরিচালক ও বাংলাদেশে জিএইচএসএ-র ফোকাল পারসন প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সভা পরিচালনা করেন আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম. সেলিম উজ্জামান।

আসাদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক বিষয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি ২০০৫-এ স্বাক্ষরকারী হিসেবে বৈশ্বিক মানে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য কর্মপরিকল্পনাকে গতিশীল ও পরিবর্তনযোগ্য হতে হবে।

মূল বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে কতটুকু সক্ষমতা অর্জন করেছে তা সর্বশেষ মূল্যায়ন হয় ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে। মূল্যায়নের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সে মূল্যায়নের পরে এ তিন বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি। তবে লক্ষ্য অর্জনে আরো অনেক করনীয় রয়েছে। সে করণীয়গুলো তুলে ধরার জন্যই আমাদেরকে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করতে হবে ও তা বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। তিনি আগামী স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা-পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচীতে ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বাস্তবায়নে পৃথক বরাদ্দ রাখার অনুরোধ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে আমাদের জাতীয় প্রচেষ্টার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রচেষ্টাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ