পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের দায়ে আরও দুই শতাধিকের বেশি সেনা সদস্য ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আটকের জন্য সারা দেশে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া আটক হাজার হাজার সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। খরব এএফপি।
ইস্তানবুলের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ফেতুল্লা গুলেনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন ১৭৬ দায়িত্বরত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে কর্নেল, পাঁচজন মেজর ও ১০০ জন লেফটেন্যান্ট রয়েছেন। তুরস্ক বলছে, মার্কিন নেতৃত্বে থাকা গুলেন এরদোগানকে ব্যর্থ করার পাঁয়তারা করেছে, তবে গুলেন তীব্রভাবে এটি অস্বীকার করে আসছেন।
এদিকে আনাদোলু জানায়, ইজমির পাবলিক প্রসিকিউটর আজিয়ান অঞ্চলে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। যার মধ্যে ২০ সেনা সদস্য ও অপর ১০ জন বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে সন্দেভাজন আটজনকে আটক করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই রাতে কোনো বড় কারণ ছাড়াই অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায় সামরিক বাহিনীর একাংশ। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনী রাজপথে অবস্থান নেয়। অভ্যুত্থানকারী সেনারা বিমান হামলা চালালেও তা রুখে দেয় নিরস্ত্র জনতা।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দল জাস্টিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) ইস্তানবুলের দফতরেও হানা দেন বিদ্রোহী সেনা সদস্যরা। অভ্যুত্থানের শুরুতেই সেনাপ্রধান জেনারেল হুলিসিয়াকে বন্দি করা হয়। ইস্তানবুল সেনানিবাসের সৈনিক ও কর্মকর্তারা অভ্যুত্থান সমর্থন করেনি।
নৌবাহিনীপ্রধান এবং বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক অভ্যুত্থান প্রয়াসের বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন শহর ও সেনানিবাসে অভ্যুত্থানকারীরা সরকারের অনুগত সহকর্মী ও জনতার প্রতিরোধের মুখে একের পর এক আত্মসমর্পণ করতে থাকে।
এতদসত্ত্বেও এরদোগান জনগণকে রাস্তায় থাকতে বলেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাস্তায় অবস্থান করে। অভ্যুত্থান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কঠিন ও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে।
তুর্কি শান্তি পরিষদ নামের বিদ্রোহী সেনাদের সংগঠনের এই অভ্যুত্থানে অন্তত ৩০০ জন নিহত এবং ২১০০ জনের বেশি আহত হন। আঙ্কারায় তুরস্কের পার্লামেন্ট ভবন ও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। গুলির শব্দ আঙ্কারা ও ইস্তানবুলের প্রধান বিমানবন্দর থেকেও শোনা যায়।
অভ্যুত্থানের পর গণগ্রেফতার শুরু করে সরকার। আটক করা হয় ৪০ হাজার মানুষকে। এর মধ্যে ১০ হাজার সেনা। দুই হাজার ৭৪৫ জন বিচারককেও আটক করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়। ২১ হাজার শিক্ষকের লাইসেন্স বাতিল করে সরকার। সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তুর্কি সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।