নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : যে মূহুর্তে টেস্ট র্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ,আর মাত্র ৮ পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে সেরা ৮ এ উঠে আসবে বাংলাদেশ, সেই মূহুর্তে বড় ধরনের ধাক্কা আসছে। গত ৩ বছরে হোমে টেস্টে বিস্ময়কর উন্নতিতে বড়দের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়ানো বাংলাদেশকে টেস্টের দ্বিতীয় স্তরে নামিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র আইসিসি’র। টেস্টের শীর্ষ ৭ র্যাংকিংধারীদের নিয়ে প্রথম স্তর এবং পরের ৩ র্যাংকিংধারীর সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ২ ফাইনালিস্টকে নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে দ্বিতীয় স্তরের টেস্ট ফর্মূলা প্রবর্তিত হচ্ছে। এই ফর্মূলায় প্রথম স্তরের সর্বনিন্ম দলটি ২ বছর পর অবনমন হয়ে খেলবে দ্বিতীয় স্তরে এবং দ্বিতীয় স্তরের সেরা দলটি উন্নীত হবে প্রথম স্তরে। তবে দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্ট ফর্মূলা এ মাসে আইসিসি’র বার্ষিক সাধারন সভায় অনুমোদনের সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় টেস্ট এরিনায় বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলার সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ। টেস্টের এই সংস্কার এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়, অধিকাংশ পূর্ন সদস্য দেশ এই প্রস্তাব মেনে নেয়ায় দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্ট ফমূলা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করছেন বিসিবি’র সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনÑ ‘সর্বশেষ সভায় দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্টের প্রেজেন্টেশন করেছে আইসিসি। আইসিসি’র ক্রিকেট কমিটিও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে পরবর্তীতে। ভারত যখন মোটা অংকে ব্রড কাস্ট রাইটস বিক্রি করেও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে, তখন অন্যদের করনীয় কিছুই নেই। আইসিসি কোন প্রস্তাব করলে বিরোধীতা করতো চার-পাঁচটি দেশ, কিন্তু দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্ট ফর্মূলা নিয়ে বিরোধীতা দেখছি না। আমরা একা বিরোধীতা করে কিছুই করতে পারব না।’
প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ন টেস্ট দেখতে দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্ট প্রবর্তনের যুক্তি আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের। বিসিবি’র সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনও তেমনটাই মনে করছেনÑ ‘আমাদের জন্য এটা এক ধরনের সুযোগও। কারন,ওয়েস্ট ইন্ডিজ,জিম্বাবুয়ে এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের দুই ফাইনালিস্টের সঙ্গে খেলে আমরা ও তো র্যাকিং বাড়িয়ে নিয়ে ৭ নম্বরে উঠে প্রথম স্তরে ওঠার সুযোগ পাচ্ছি। যেহেতু এখন আমাদের সঙ্গে বড় দলগুলো খেলতে তেমন আগ্রহী নয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড তো আমাদের সঙ্গে খেলতেই চায় না। তখন দ্বিতীয় স্তরে খেলে প্রমোশন পেয়ে প্রথম স্তরে উঠলে তো আর তারা আমাদের সাথে খেলতে আপত্তি করতে পারবে না।’
২০১৪ সালে আইসিসি’র বার্ষিক সভায় ২০২০ সাল পর্যন্ত এফটিপির আওতায় দ্বি-পাক্ষিক সফরসূচী চূড়ান্ত হলেও ধাক্কা আসছে চলমান এফটিপিতে। এ মাসের শেষ দিকে স্কটল্যান্ডের এডিনবোরায় আইসিসি’র বার্ষিক সাধারন সভায় দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্ট প্রবর্তনের আইডিয়া অনুমোদিত হলে প্রথম স্তরের দেশ পাকিস্তান,নিউজিল্যান্ড,শ্রীলংকা এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত ৯টি টেস্ট খেলা থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভি’র সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তিতে ২০ মিলিয়ন ২৫ হাজার মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬০ কোটি ২০ লাখ টাকা) বিক্রিত মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং রাইটস থেকেও আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পথে আসবে বাধা। পরিস্থিতির বাস্তবতায় এই আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। তা জানিয়েছেন বিসিবি’র সিইওÑ ‘আমরা মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং রাইটস থেকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব, এটা ঠিক। তবে ভারত যদি ব্রড কাস্ট রাইটস থেকে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে পারে,তাহলে আমরা কেন পারব না।’
তবে দ্বি-স্তর বিশিস্ট টেস্ট প্রবর্তন ফর্মূলায় সম্মতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র সিইওÑ ‘আমাদের তরফ থেকে শর্ত দু’টি। প্রথমটি হলো সদস্যপদের ক্ষেত্রে আমাদের স্ট্যাটাস। যদি আমাদের স্ট্যাটাস নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কোন সমঝোতা নয়। আর দ্বিতীয়টি হলো রাজস্ব। আইসিসি’র পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে রাজস্ব কমবে না। তবে ন্যুনতম গ্যারান্টি মানি কতো পাব, তা নিশ্চিত করে বলতে হবে আইসিসিকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।