Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কংগ্রেসের সব মন্ত্রীর পদত্যাগ, পতনের মুখে কর্নাটক সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৯ পিএম

‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দিতে কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। এই মুহূর্তে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ভারতের কর্নাটক রাজ্যের জোট সরকার। সরকার বাঁচাতেই মন্ত্রীদের এই পদত্যাগ বলে সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরও রয়েছেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে দল যদি তাদের পদত্যাগ করতে বলে, সকলেই পদত্যাগ করবেন। সোমবার সকালেই পদত্যাগপত্র জমা দেন কংগ্রেসের সব মন্ত্রীরা।

শনিবারেই পদত্যাগ করেছিলেন কংগ্রেস ও জেডিএস-এর মোট ১৩ জন বিধায়ক। তাদের বুঝিয়ে দলে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চলাকালীন আরও একটা ধাক্কা খেলেন কুমারস্বামী। এ দিন সকালেই পদত্যাগ করেন রাজ্যেরই এক মন্ত্রী তথা সতন্ত্র বিধায়ক নাগেশ। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের আরও দুই বিধায়কও পদত্যাগ করতে চলেছেন। তাদের মধ্যে কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডির মেয়ে কংগ্রেসের সৌমিয়া রেড্ডি রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সফর ছেঁটে রোববারই রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। একের পর এক বিধায়কের পদত্যাগে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা দলকে টেনে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। রাজ্যে পা দিয়েই তিনি জেডিএস ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেন সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে। সূত্রের খবর, কী ভাবে ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের দলে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটারও একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয় ওই বৈঠকে। রাতে ফের জোটের নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেন কুমারস্বামী। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সন্তোষজনক ফল বার হয়নি বলেও সূত্রের খবর।

‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়করা তাদের সিদ্ধান্ত বদলাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন জোট সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বরা। দেবগৌড়া দলের সমস্ত নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল, সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমার কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার একটা বৈঠক ডেকেছেন তারা। সেখানে সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সতন্ত্র বিধায়ক নাগেশের পদত্যাগ প্রসঙ্গে শিবকুমার বলেন, ‘চাপে পড়েই পদত্যাগ করেছেন নাগেশ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। আমরা ওর সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছি।’ এ দিকে, কংগ্রেস ও জেডিএস-এর যে সকল বিধায়ক মুম্বাইয়ের হোটেলে উঠেছেন, তাদের উপর কড়া নজরদারিও শুরু হয়ে গিয়েছে। হোটেলের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে বিধায়কদের। বিজেপি যাতে ঘোড়া কেনাবেচা করতে না পারে জোর কদমে সেই প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন কুমারস্বামী।

রাজ্যে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য বিজেপিকেই বার বার দায়ী করেছে কংগ্রেস-জেডিএস। কিন্তু সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি, এই অস্থিরতার জন্য বিজেপি কোনও ভাবেই দায়ী নয়। সোমবার সংসদে কর্নাটকের প্রসঙ্গ উঠলে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। কর্নাটকের এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনও ভাবেই জড়িত নয়।’ এই ঘটনার জন্য পাল্টা তিনি রাহুল গান্ধীকেই দুষেছেন। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কংগ্রেস

২৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ