নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলে বিশ্বকাপে। এসে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে বড় হারে পাওয়া হয়নি সান্ত্বনাও। মোটা দাগে বিশ্বকাপে ব্যর্থই বলা হচ্ছে বাংলাদেশকে। ব্যর্থ মিশন শেষে তাই বিষন্নতা নিয়েই গতকাল বিকেলে ঢাকায় পা রেখেছে বাংলাদেশ দল।
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য অনেক। শেষ চারে থাকার আশায় মাঠে নামা দলটি হয়েছে অষ্টম। ব্যর্থতার মাত্রাটা অনেকে তাই শতভাগই বলছেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ। আর এ হতাশাজনক পারফরম্যান্সের দায় এড়িয়েও যাচ্ছেন না তিনি। ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেও টুর্নামেন্ট জুড়ে টাইগারদের ইতিবাচক মানসিকতার প্রশংসাও করেছেন দেশসেরা এই অধিনায়ক। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এবারের বিশ্বকাপ দলটিকেই সেরা বলছেন অনেকে। কিন্তু এমন দল নিয়েও হতাশাই উপহার দিয়েছে টাইগাররা। সবমিলিয়ে তাদের সমালোচনায় মুখর অনেক ভক্ত-সমর্থক। আর এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিচ্ছেন অধিনায়ক, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে দল যখন প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারবে, তখন সমালোচনা আমাকে নিতেই হবে এবং পুরো দলের দায়ভার নিতেই হবে। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে তাকেও নিতে হতো এবং আমি সেটা নিচ্ছি।’
তবে পুরো আসরে ভাগ্য টাইগারদের সমর্থন করেনি। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে গেলে ফল অন্যরকম হতে পারত বলেই মনে করেন মাশরাফি, ‘সমালোচনা হচ্ছে বা হবে। সেটা সারা বিশ্বেই যে কোনো আসর শেষে হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এটা বলব, কিছু জিনিস আমাদের পক্ষে গেলে আজকে আমাদের দল অন্যরকম জায়গায় থাকত।’
যদি-কিন্তুর ব্যাপারগুলো নিজেদের পক্ষে গেলে হয়তো ভালো কিছু হতে পারত। তবে সামগ্রিক দৃষ্টিতে বিশ্বকাপে যে তারা ব্যর্থ হয়েছেন তা অস্বীকার করেননি মাশরাফি। নিজেদের পারফরম্যান্স বিচার করতে গিয়ে বলেছেন, ‘হতাশাজনক। পুরো দল হতাশ। তবে যদি আপনি পুরো বিশ্বকাপ দেখেন আমরা যেভাবে খেলেছি... যদি কিছু বিষয় আমাদের পক্ষে যেত, হয়তো আমরা সেমি-ফাইনালে যেতে পারতাম। তবে খেলার ধরন যেটা ছিল, সেটা ইতিবাচক ছিল। তবে যেহেতু দলের প্রত্যাশা মেটানো যায়নি, তাই বলব অবশ্যই হতাশাজনক।’
দল ভালো না খেললেও দুর্দান্ত খেলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। তাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেছেন মাশরাফি, ‘সাকিব দুর্দান্ত খেলেছে। সঙ্গে মুস্তাফিজ, মুশফিক ও সাইফউদ্দিন- এরাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। আর বাকিদের পারফরম্যান্স আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল।’
দলের সঙ্গে আপাতত দেশে ফেরেননি সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান ও লিটন দাস। টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে অবিশ্বাস্য ছন্দ দেখানো সাকিব ছুটি কাটাতে যাবেন সুইজারল্যান্ডে। বাকি তিনজনও নিজেদের মতো করে ঘুরে বেড়াবেন। তাদের ছেড়ে দেশের পথে পাড়ি দেবার আগে কোচ স্টিভ রোডসও বললেন, শেষটা ভালো না হলেও গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ছিলেন তারা, ‘শেষ ম্যাচটা ছাড়া সব ম্যাচেই আমরা ভালো খেলেছি, ধারাবাহিক খেলেছি। কিছু ম্যাচে ফল পক্ষে এসেছে, কিছু ম্যাচে আনা যায়নি। চাইলে এখান থেকে ইতিবাচক কিছু নেওয়ার আছে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বিশ্বকাপ মিলে মোট ৬৫ দিনের সফর দেশে ফিরছেন এই ১১ টাইগার। মে মাসের সেই আইরিশ সিরিজে অদম্য এক বাংলাদেশকেই দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। তিন জাতির এই টুর্নামেন্টে লিগ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মত বহুজাতিক কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তোলে মাশরাফির দল। ২২ গজের বিশ্বযুদ্ধেও দলটির প্রতি প্রত্যাশা গিয়েছল বেড়ে। কিন্তু কাঙ্খিত সেই পারফরম্যান্স ধারাবাহিকভাবে দেখাতে ব্যর্থ মাশরাফি-তামিমরা।
এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৯ ম্যাচের একটা ভেসে যায় বৃষ্টিতে। বাকি ৮ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ হারাতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে। বাকি ম্যাচ পাঁচেই হারতে হয়েছে। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে জেতার পরিস্থিতি থেকেও পথ হারিয়ে ম্যাচ খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।