বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় তোবারকের খিচুড়ি খেয়ে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু ও ৪৮ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রবিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যু সুমাইয়া খাতুন সখি শহরের শহীদ আহমেদ রফিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ঐ গ্রামের সেলিম শেখের কন্যা। ঐ গ্রামে একটি অস্থায়ী স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপন করে অসুস্থদের জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রঞ্জন কুমার দত্ত স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, শুক্রবার ওই গ্রামের মৃত ঈমান আলীর পুত্র শহিদ উদ্দিন তার পিতার কুলখানী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। মাহফিল শেষে উপস্থিত লোকজনকে তাবারক হিসাবে রান্না করা খিচুরী বিতরণ করা হয়। সেই খিচুরী খাওয়ার পর একে একে অসুস্থ্য হতে থাকেন লোকজন। শুরুতে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও রবিবার সকাল থেকে ওই গ্রামের অনেক শিশু- কিশোর ও নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার সকালে অসুস্থদের মধ্যে ৩৪ জনকে ডায়রিয়া জনিত রোগে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, পরে বিকালে আরও ১৪ জন রোগী ভর্তি হন। হাসপাতালে আসার পথে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন সখি মারা যায়। অসুস্থ্য বকুল হোসেন জানান, শুক্রবার মিলাদ মাহফিলের তাবারক খিচুড়ি খাবার পর রাত শেষে শনিবার ও তার শিশু ছেলে মামুন এবং মেয়ে রুকু অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। কিন্ত বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় রবিবার অবস্থার অবনতি হলে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসক হাবিবুল ইসলাম জানান, ডায়রিয়া জনিত রোগেই এরা সবাই অসুস্থ্য হয়েছে। আর স্কুল ছাত্রী মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য হলেও যথা সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে হাসপাতালে আনার পথেই সে মারা গেছে। অসুস্থ্য অধিকাংশই ডায়রিয়া ও সেই সাথে পেটের পীড়া জনিত রোগে আক্রান্ত বলে দাবী করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের ধারণা ওই মিলাদের খিচুরী খেয়েই বিষ ক্রিয়ায় ডায়রিয়া হয়েছে। পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ঘটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঐ গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। দোগাছি ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে এরই মধ্যে একটি স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপন করে অসুস্থদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে। অনেকে খিচুরি মিলাদে না খেয়ে বাসায় নিয়ে আসেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রঞ্জন কুমার দত্ত এবং আবাসিক চিকিৎসক জনাব আকসাদ আল মাসুর আনান, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: নিতীশ কুমার বলেছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে হাসপতালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রোগীদের উন্নতি হচ্ছে। পর্যাপ্ত স্যালাইনের সরবরাহ রয়েছে পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ ঘটনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে অবহিত করার পর ঢাকার রোগতত্ত্ব ও নিরাময় কেন্দ্রের একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। ঘটনাস্থলে জরুরী সেবা নিশ্চিত করার জন্যে একটি এম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ২২জন চিকিৎসককের মেডিক্যাল টিম সতর্কতার সাথে কাজ করছেন। মৃত ছাত্রীর পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাবনা সিভিল সার্জন, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ হাসপাতাল ও বলরামপুর এলাকা পরির্দশন করেছেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।