নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মন্থর হতে থাকা উইকেটে যে পুঁজি নিয়ে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল শ্রীলঙ্কা। তবে একটা শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন ম্যাথিউস- দ্রুত ফেরাতে হবে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে।
কিন্তু তা আর হলো কই! রোহিত ব্যুহ ভাঙতে গিয়েই তো বেলা শেষ। যতক্ষণে তিনি ফিরলেন তার আগেই ম্যাচ লঙ্কানদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার করা ৭ উইকেটে ২৬৪ রান ৩৯ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে ভারত। আসরের পঞ্চম ও টানা তৃতীয় সেঞ্চুরিতে রোহিত উঠেছেন অনন্য উচ্চতায়। বিশ্বকাপের এক আসরে এত বেশি শতক যে নেই আর কারো।
গত আসরে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপের এক আসরে এতদিন এটিই ছিল সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ড। ৯৩ বলের ঝড়ো ইনিংসে কাল সাঙ্গাকে পেরিয়ে যান রোহিত। ভারতের হয়ে টানা তিন সেঞ্চুরিও আছে আর কেবল কোহলির।
লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে রোহিত যোগ করেন আসর সর্বোচ্চ ১৮৯ রান। ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে পরের বলেই মিড অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার ৯৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ২টি জয়ের মার। এই ইনিংস দিয়ে আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহাকের তালিকায় সাকিব আল হাসানকে (৬০৬) টপকে উপরে উঠে এসেছেন রোহিত (৬৪৭)। আর ১৭ রান করতে পারলে বিশ্বকাপের এক আসরে শচীন টেন্ডুলকারের করা ৬৭৩ রানের রেকর্ড ভেঙে দেবেন তিনি।
রাহুলের ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি (১১৮ বলে ১১১) ইনিংসটি সাজান ১১টি চার ও এক ছক্কায়। কোহলি ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ভারতীয় একাদশে এদিন জায়গা পাননি ৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট পাওয়া মোহাম্মাদ শামি। তার পরিবর্তে যার উপর আস্থা রাখা হয়েছিল সেই ভুবনেশ্বর ছিলেন খরুচে (১/৭৩)। তবে অপর প্রান্তে জাসপ্রিত বুমরাহ এদিনও ছিলেন রূদ্রমূর্তিতে। দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্মে ও কুসল পেরেরাকে মাহেন্দ্রসিং ধোনির হাতে ক্যাচ বানান এই পেসার। সঙ্গে প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টর একাদশে সুযোগ পাওয়া রবীন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়ার তোপে স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৫৪।
এরপরই লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে ম্যাথিউস গড়েন ১২৪ রানের জুটি। থিরিমান্নে (৫৩)ফিফটি করে ফিরলেও দনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (২৯) নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৪ রানের জুটির পথে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ম্যাথিউস। তিনটি শতকই ভারতের বিপক্ষে। সাবেক অধিনায়ক তার ১২৮ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটি সাজান ১০ চার ও ২ ছক্কায়। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার বুমরাহ। বাকি চার বোলরও পেয়েছেন একটি করে উইকেটের দেখা।
এই জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ভারত। শীর্ষস্থান ফিরে পেতে দিনের আরেক (দিবা/রাত্রি) ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে পেরুতে হত দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩২৫ রানের পাহাড়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫২ রানে ২ উইকেট হারানোর পাশাপাশি উসমান খাজা ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ায় অজিদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।