নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাকিব ছাড়া আর কেউ ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে না পারায় ৯৪ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বোলার আফ্রিদি ছয় উইকেট তুলে নিয়ে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩১৫/৯(৫০ ওভার)(ফখর ১৩, ইমাম ১০০, বাবর ৯৬, হাফিজ ২৭, হারিস ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২, শাদাব ১, আমির ৮, আফ্রিদি ০*; মিরাজ ৩০/১, সাইফউদ্দিন ৭৭/৩, মুস্তাফিজ ৭৫/৫, মাশরাফি ৪৬/০, সাকিব ৫৭/০, মোসাদ্দেক ২৭/০)
বাংলাদেশ: ২২১/১০ (৪৪.১ ওভার)(তামিম ৮, সৌম্য ২২, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৬, লিটন ৩২, মাহমুদউল্লাহ ২৯, মোসাদ্দেক ১৬, মিরাজ ৭*, মাশরাফি ১৫, মুস্তাফিজ ১; হাফিজ ৩২/০, আমির ৩১/১, আফ্রিদি ৩৫/৬, ওয়াহাব ৩৩/১, ইমাদ ২৬/০, শাদাব ৫৯/২)
এক রানে তিন উইকেট হারিয়ে পরাজয় দেখছে বাংলাদেশ
চার বলের ব্যবধানে মোসাদ্দেক ও সাইফকে হারিয়ে হার দেখছে বাংলাদেশ। ৩৯.৪ ওভারে শাদাবের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৬ রান করে ফেরেন মোসাদ্দেক। পরের ওভারের প্রথম বলেই আফ্রিদির চতুর্থ শিকারে পরিনত হয়ে শূণ্য রানেই মাঠ ছাড়েন সাইফ। তার এক বল পরেই মাহমুদউল্লাহও (২৯) ফেরেন আফ্রিদির এক ইয়র্কারে। ম্যাচে পাঁচ উইকেট লাভ করলেন আফ্রিদি। মাশরাফি ও মিরাজ ১ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৯ রান।
সাকিবের লড়াই থাকিয়ে দিলেন আফ্রিদি
পুরো বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ দল মানেই সাকিব। ওয়ান ম্যান আর্মি হয়েই খেলে গেছেন আসরজুড়ে। আজও তার ব্যতিক্রম হল না। ৬৪ রানেই আফ্রিদির বলে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে থেমে গেছে তার ইনিংস। বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৬০০ রান পূর্ণ করছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাহমুদউল্লাহ ৮ রানে ও মোসাদ্দেক ২ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রান।
সাকিবকে একা ফেলে গেলেন লিটনও
দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম বলেই চমৎকার বিচক্ষনতার সঙ্গে একটি স্লোয়ার বল করেন আফ্রিদি। তাতেই পরাস্ত হয়ে হারিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩২ রানে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। তিনি আউট হয়ে লড়াইয়ের জন্য অন্যদিনের মতো সাকিবকেই একা ফেলে এলেন। সাকিব ৫৭ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত আছেন ১ রান নিয়ে।
দলীয় সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান।জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ১৭৭ রান।
শচীনের পাশে সাকিব
এক বিশ্বকাপের আসরে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে শচীনের পাশে সাকিব। ২০০৩ সালে শচীন টেন্ডুলকার সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন। আজকের ম্যাচে অর্ধশত রান পূর্ণ করে এই রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। সাকিব ৫১ রানে ও লিটন ২৬ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৫ রান।
মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ
তামিমের বিদায়ের পর বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন সাকিব ও মুশফিক। কিন্তু ওয়াহাবের বলে বোল্ড হয়ে আর ক্রিজে স্থায়ীত্ব পেলেন না মুশফিক। ১৬ রানে তার আউট হওয়ায় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। সাকিব ৩৩ রানে ও লিটন ১ রানে খেলছেন।
দলীয় সংগ্রহ ১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ২৩৭ রান।
ফিরে গেলেন তামিমও
রক্ষণাত্বকত ইনিংস খেলে ক্রিজে সেট হওয়ার পর আউট হলেন তামিম। ২১ বলে ৮ রান করে আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এই বাহাতি। সাকিব ১৮ রানে ও মুশফিক ১ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৪৯ রান।
শুরুতেই আমিরের আঘাত
বড় রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই সৌ্যেকে আমিরের ক্যাচে পরিনত করে মাঠছাড়া করেন আমির। মাত্র ২২ রানে ফিরে যাওয়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। তামিম ৪ রানে ও সাকিব ১ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৬ ওভারে ১ উইকেটে ২৭ রান।
মুস্তাফিজের পাঁচে ৩১৫ রানে থামল পাকিস্তান
টস জিতে ইমামের সেঞ্চুরি ও বাবরের ৯৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান করেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩১৬ রান। শেষের দিকে মুস্তাফিজ ও সাইফের প্রতিরোধে রান কিছুটা আটকাতে পেরেছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ ৫টি উইকেট ও সাইফ ৩টি উইকেট নিয়েছেন। নতুবা আরও বেশি রান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
সাইফের তৃতীয় শিকার ওয়াহাব
ব্যাক্তিগত অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে একটি ইয়র্কারে ওয়াহাবকে বোল্ড করে ফেরালেন সাইফ। ম্যাচে এচি তার তৃতীয় উইকেট। ইমাদ ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। শাদাব খেলছেন ১ রানে।
দলীয় সংগ্রহ ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৯ রান।
হারিসকে ফিরিয়ে মুস্তাফিজের সেঞ্চুরি
ব্যক্তিগত ৭ম ওভারে হারিসকে ফিরিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শততম উইকেট তুলে নিলেন মুস্তাফিজ। হারিস ফেরার আগে ৬ রান করেন। ইমাদ ২ রানে ও সরফরাজ ০ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৪৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান।
হাফিজকে ফিরিয়ে দিলেন মিরাজ
ইমামের বিদায়ের পরের ওভারেই মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৭ রান করেন তিনি। সোহেল ১ রানে অপরাজিত আছেন। হাফিজের বিদায়ে স্বস্তি ফিরেছে টাইগার শিবিরে।
দলীয় সংগ্রহ ৪৩ ওভারে ৪ উ্েকেটে ২৪৮ রান।
সেঞ্চুরির পর ফিরলেন ইমাম
বাবরের ৯৬ রানে আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরেক ওপেনার ইমাম। ৯৯ বলে ৭ চারে তিনি তার শতরান তুলে নেন। অবশ্য তিন অঙ্কে প্রবেশ করার পরের বলেই মুস্তাফিজের বলে হিট আউট হয়ে ফেরেন এই বাহাতি। হাফিজ ২৬ রানে অপরাজিত আছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। দলীয় সংগ্রহ ৪২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান।
বাবরকে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করলেন সাইফ
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকা অবস্থায় মোসাদ্দেকের লো ফুট টস বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন বাবর। ৩২ ওভারের শেষ বলে ৯৬ রান করে ফেরেন এই ডানহাতি। ইমাম ৬৩ রানে ও হাফিজ ০ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৩২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮০ রান।
মোসাদ্দেকের ভুলে মিয়াদাদকে টপকালেন বাবর
মুস্তাফিজের বলে বাবর ৫৭ রানে মোসাদ্দেকের হাতে জীবন পেয়ে এবার স্বদেশী কিংবদন্তী জাভেদ মিয়াদঁদের রেকর্ড ভেঙে দিলেন। এক বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা আগে তার ঝুলিতেই ছিলো। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ৪৩৭ রান করেছিলেন তিনি। এবারের আসরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলা বাবর নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাকে টপকে গেলেন। বিশ্বকাপে আট ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে নিজের দুর্দান্ত ফর্মে থাকার জানান দিয়েছেন তিনি। ২২, ৬৩, ৩০, ৪৮, ৬৯, ১০১*, ৪৫ ও ৬৬* তার এবারের বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচের রান। বাবর ৬৬ রানে ও ইমাম খেলছেন ৫২ রানে।
দলীয় সংগ্রহ ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ১৩৭ রান।
ইমাম-বারবে এগোচ্ছে পাকিস্তান
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফখরকে হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইমাম-ফখর জুটি। ৬১ রান করে এখনও অবিচ্ছিন আছেন তারা। ইমাম ২৮ রানে ফখর ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ১৮ ওভারে ১ উইকেটে ৮৪ রান।
ফখরকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে পাকিস্তানি ওপেনার ফখরকে পয়েন্টে মিরাজের ক্যাচে পরিনত করে ফিরিয়ে দেন সাইফউদ্দিন। ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন এই বাহাতি। ইমাম ১০ রানে ও বাবর ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ৮ ওভারে ১ উইকেটে ২৮ রান।
টসে হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
টসে হেরে প্রথমে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। বাংলাদেশ আধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা বলেছেন টসে জিতলে তিনি পাকিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠাতেন। দুই পরিবর্তন নিয়ে আচ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ এবং মিরাজ আজ খেলছেন। বাদ পড়েছেন সাব্বির ও রুবেল। অন্যদিকে পাকিস্তান দলে কোন পরিবর্তন নেই।
উল্লেখ্য নিজেদের শেষ ম্যাচে লাল জার্সি পড়ে খেলছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, শাহিন আফ্রিদি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাউফউদ্দিন, মাশরাফি মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।
শেষ ম্যাচ রাঙাতে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদশ
নিজেদের নবম ও শেষ ম্যাচ রাঙ্গিয়ে রাখতে বিশ্বকাপের ৪৩তম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। লর্ডসে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের বিপক্ষে হেরে ইতিমধ্যেই আসর থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা। অন্যদিকে অসম সমীকরনের সামনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। তবে শেষ চারের সমীকরনকে উর্ধ্বে রেখে ম্যাচ জয়ের দিকেই নজর থাকবে দুটি দলের।
পরিসংখ্যান:
মুখোমুখি দুই দলের লড়াইয়ে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। তবে বিশ্বকাপের লড়াই ও শেষ চার ম্যাচের মুখোমুখি লড়াই পক্ষে আছে বাংলাদেশের।
ওয়ানডেতে:
ম্যাচ: ৩৬
পাকিস্তান জয়ী: ৩১
বাংলাদেশ জয়ী: ৫
বিশ্বকাপে:
ম্যাচ: ১
বাংলাদেশ: ১
পাকিস্তান: ০
১৯৯৯ বিশ্বকাপের রেকর্ড ধরে রাখার লড়াই
১৯৯৯ বিশ্বকাপে এই ইংল্যান্ডেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল প্রথম কোনো টেস্ট দলকে হারানোর অনির্বচনীয় স্বাদ। তবে পাকিস্তানকে আরেকবার হারাতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬ বছর! এবার আবার পাকিস্তানকে বিশ্বকাপের আসরে সামনে পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচটি জিতে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ধরে রাখতে চাইবে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।