Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাঁচ উইকেটে রাঙানো দ্রততম সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পেসারদের রাজ্যে বিশ্বকাপ। স্বপ্নটাও তাই বেশি ছিল তাকে ঘিরে। শুরুতে কিছুটা ছন্দপতন হলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেড়িয়েছেন, ছোবলটা দিয়েছেন মোক্ষম সময়েই। মুস্তাফিজুর রহমানের ফেরাটা হয়েছে ফিজের মতোই। টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে গড়েছেন কীর্তি, নিজেকে নিয়ে তুলেছেন অনন্য উচ্চতায়, যেখানে তার ধারে কাছেও নেই ওয়াসিম আকরাম, ব্রেট লি, এমনকি হালের ট্রেন্ট বোল্টারাও! ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে কাজটা এগিয়ে রেখেছিলেন মুস্তাফিজ। ওয়ানডেতে উইকেট সংখ্যাকে তিন অঙ্কে নিতে আর কেবল দুই উইকেট দরকার ছিল তার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ইমাম উল হক ও বাবর আজম ১৫৭ রানের বিশাল জুটি গড়ে উল্টো চাপে ফেলে দেন টাইগারদের। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বকণিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ইমামকে ফিরিয়ে করেন শুরু, পরে নিজের বলে নিজেই তালুবন্দী করে উল্লাসে মাতেন উইকেটের সেঞ্চুরির। ব্যাস, হয়ে গেল ইতিহাস!

নিজের ৫৪তম ম্যাচে এসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম। বাংলাদেশের পক্ষে এর আগে সবচেয়ে দ্রুততম উইকেটের সেঞ্চুরি ছিল আবদুর রাজ্জাকের। মুস্তাফিজের আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ড ছিল আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। ৬৯ ম্যাচে ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজা ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন ৭৮ ম্যাচে। সাকিব আল হাসানের দরকার হয়েছিল ৮৮ ম্যাচ।

শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের মানদন্ডেই মোস্তাফিজের এ কীর্তি দারুণ। মোস্তাফিজের চেয়ে দ্রুত ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মাত্র তিনজন। ৪৪ ম্যাচে এ কীর্তি গড়ে সবার ওপরে আছেন রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনার এ রেকর্ড কেড়ে নিয়েছেন মিচেল স্টার্কের (৫২ ম্যাচ) কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারের আগে এ কীর্তি ছিল পাকিস্তানের সাকলায়েন মুশতাকের (৫২)। ১৯৯৭ সালে ১০০ উইকেট পাওয়া সাকলায়েনের দখলে ১৯ বছর ছিল এ রেকর্ড। একমাত্র শেন বন্ডই (৫৪ ম্যাচ) তাঁর রেকর্ড দখলে নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। উইকেটের সেঞ্চুরি পেতে ব্রেট লিকেও ৫৫ ম্যাচ খেলতে হয়েছিল। বর্তমানের সেরা বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্টেরও দরকার হয়েছিল ফিজের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি। আর বাঁহাতি পেস বোলিংয়ের শেষ কথা ওয়াসিম আকরামের দরকার হয়েছিল ৭৪ ম্যাচ! পরে ধার বাড়ে আরো সেই ধারে একে একে কাটা পড়েন শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমির। আর তাতেই বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে ব্যাক-টু-ব্যাক পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও নিজের নামের পাশে লিখিয়ে নিলেন মুস্তাফিজ। আট ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ উঠে গেছেন এবারের বিশ্বকাপের বোলার টপচার্টের দুইয়ে। সেই সঙ্গে হয়ে গেলেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে বিশ উইকেট নেয়া একমাত্র বোলারও! আগে শুধুমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও ৫ উইকেট শিকারিদের স্মৃতিই ধরে রাখত লর্ডস। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে সেই তালিকায় যোগ হয়েছে ওয়ানডেও। তাতে করে ক্রিকেটতীর্থে শাহাদত হোসেন রাজীবের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে মুস্তাফিজের নামটিও ঠাঁই করে নিলো অনার্স বোর্ডে। আর ব্যাটসম্যান হিসেবে যেখানে এখনও একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান হয়ে আছেন তামিম ইকবাল।



 

Show all comments
  • msIqbal ৬ জুলাই, ২০১৯, ২:১১ এএম says : 1
    সব শেষ হয়ে যাবার পর এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলারের এই কৃতিত্ব দিয়া এখন আমরা কি করিব! মাশরাফর উইকেট না পাওয়াতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমাদের মাশরাফি নিশ্চয় আজকের এঈ খেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে কাজে লাগাবে!?
    Total Reply(0) Reply
  • মিছিল রিয়াসাত ৬ জুলাই, ২০১৯, ২:১১ এএম says : 0
    মোস্তাফিজের এই সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে সৌম্য তামিম মাশরাফির বাজে ফর্মের কারণে।
    Total Reply(0) Reply
  • সোয়েব আহমেদ ৬ জুলাই, ২০১৯, ২:১২ এএম says : 0
    অভিনন্দন। ফিজ আরও সফল হোক সেই কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দ্রততম সেঞ্চুরি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ