পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)’র প্রভাষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠেছে। বিজ্ঞপ্তি প্রচারের দীর্ঘ ১৬ মাস পর ৬ আগস্ট রিজেন্ট বোর্ড সভায় অনুমোদন উপস্থাপনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বর্তমান ভিসি।
১৬ জন কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও রিজেন্ট বোর্ডে অনুমোদনের মাধ্যমে ২২ জনকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। লিখিত, মৌখিক ও প্রদর্শনী ক্লাস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত হয়েও চাকরি না দেয়া, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের ছাড়াই ভিসির মন মতো শিক্ষকদের দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগে ভুক্তভোগী কর্তৃক লিগ্যাল নোটিশ প্রদানসহ সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম নেতৃবৃন্দ নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে বর্তমান ভিসির স্বেচ্ছাচারিতাই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, বর্তমান ভিসি যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছেন। এ কারণেই প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রছাত্রীরা সেশন জটের কবলে পড়েছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন প্রভাষক, ১৬ জন কর্মকর্তা ও ২২ জন কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কয়েকবার নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পেছানোর পর সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সুত্রটির মতে প্রভাষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের পরীক্ষা নোটিশ দিয়ে এবং তারিখ ঘোষণা করে নেয়া হলেও কর্মচারীদের পরীক্ষা অনেকটা গোপনেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রকাশ্য, গোপন ও নিয়ম বহিভর্‚তভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি চ‚ড়ান্ত করার লক্ষে ৬ জুলাই রিজেন্ট বোর্ডের সভা আহবান করা হয়। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ রয়েছে ইতিপূর্বের সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠার লক্ষে রিজেন্ট বোর্ড মেম্বারদের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হবে। ডেইরি এন্ড পোলট্রি সায়েন্স বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের আবেদন করেন বগুড়ার শাকিল ইসলাম। গত ২৮ মার্চ লিখিত মৌখিক ও প্রদর্শনী ক্লাস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও তাকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। এ কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে ও প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে মর্মে দ্বিমত পোষন করেছেন খোদ নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য। এ নিয়ে প্রশাসনকে চিঠিও দিয়েছেন প্রভাষক (উদ্যানতত্ব) নিয়োগ কমিটির সদস্য ও হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শরীফ মাহমুদ। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি ও অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা।
এসব ব্যাপারে জোরালো প্রতিবাদ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির বিষয়ে প্রকাশ্যেই বক্তব্য দিয়েছেন সহকারী অধ্যাপক কৃষিবিদ শাহীন আলম, প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ, প্রফেসর ড. মমিনুল ইসলাম।
নিয়োগের সিলেকশন কমিটির অস্বচ্ছতা, বিজ্ঞপ্তির অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করা ও পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ না করার অনিয়ম তুলে ধরে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি প্রফেসর ড. বলরাম রায় বলেছেন অস্বচ্ছ এই নিয়োগ পরীক্ষায় জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে নিয়োগ পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তিনিসহ ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশীদ।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শতভাগ আইনগতভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুর রহমান। কর্তৃপক্ষ মনে করলে বিজ্ঞপ্তির অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দিতে পারে বলেও জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক নিয়ম আছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।