মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরান থেকে তেল কেনার বিষয়ে চীনকে ছাড় দেয়ার চিন্তা করছে আমেরিকা। এদিকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারতও। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে চীন ও ভারতকে ইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়ে যেভাবে ছাড় দেয়া হয়েছিল সেভাবে ট্রাম্প প্রশাসনও বিষয়টি বিবেচনা করছে।
ইরানের ওপর মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে চীনসহ কোনো দেশই স্বাভাবিক উপায়ে তেল আমদানি করতে পারছে না। ফলে সম্প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরান থেকে প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেলের একটি চালান নিয়েছে চীন।
এসব দেশের তেল শোধনাগার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ইরানি তেলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সে কারণে ইরান থেকে তেল আমদানি করা চীনসহ অনেক দেশের জন্যই অপরিহার্য। এসব দেশের পক্ষ থেকে আমেরিকার ওপর চাপও রয়েছে।
ইরানি গণমাধ্যম বলছে, গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান থেকে যে দেশ তেল আমদানি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
কিন্তু এর পরই আমেরিকার তিনজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরান বিষয়ক মার্কিন দূত ব্রায়ান হুক ও তার আলোচক দল ইরান থেকে চীনকে তেল কেনার বিষয়ে ছাড় দেয়ার কথা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছে।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ভারত ইরান থেকে তেল আমদানি করবে। বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন এমন কথাই জানিয়েছেন।
ইরান থেকে তেল কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তেহরানের কাছ থেকে নয়াদিল্লির তেল আমদানি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বুধবার লোকসভার অধিবেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভারত কি ইরানের তেল আমদানি বন্ধ করবে বা চালিয়ে যাবে না। জবাবে মন্ত্রী বলেন, না। সম্পূরক প্রশ্নে কংগ্রেস নেতা আন্তো অ্যান্থনি জানতে চান, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও চাপ রয়েছে কিনা। জবাবে মুরালিধরন বলেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিজেদের স্বার্থেই এবং তৃতীয় কোনও দেশ দ্বারা এটা প্রভাবিত না।
এর আগে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্রচুক্তি এবং ইরানের থেকে তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বিশেষ বার্তা নিয়ে গত সপ্তাহে ভারত সফরে এসেছিলেন। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে দেশের স্বার্থকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে ভারত। প্রসঙ্গত, ইরানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে চীন। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।